ফলে মরণঘাতি এই রোগের আক্রমণ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে খামার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে এ জেলার খামারিদের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী থেকে ছাগলের ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যা জেলার প্রয়োজন অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে সরবরাহ করা হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ২৫টি খামারে প্রায় ৩ হাজার ছাগল রয়েছে।
এছাড়া, ব্যক্তিগতভাবে কৃষক ও গৃহস্থ বাড়িতে ২ লাখ ৩৩ হাজার ২০০ ছাগল পালন করছে। ছাগলদের সুস্থ থাকার জন্য প্রজনন মৌসুমের আগে বছরে একবার টিকা দেয়া প্রয়োজন। সাধারণত প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে প্রতি ছাগলের জন্য ৫০ টাকা দিয়ে খামারিরা এ টিকা দিয়ে থাকেন।
প্রাণিসম্পদ অফিস এ বছর ৫৩ হাজার টিকা সরবরাহ করে। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে জেলায় ছাগল ও ভেড়ার ভাইরাসজনিত পেস্ট ডেস পেটিস রিউমেন্যান্টস (পিপিআর) ভ্যাকসিন নেই।
পিপিআর হচ্ছে ছাগলের একটি প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগের কারণে ছাগল ও ভেড়ার জ্বর, মুখের ঘা, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে পিপিআর ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে না।
গাজীপুরের প্লাস মাইনাস অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুর রহমান আমিন বলেন, ‘আমাদের খামারে জানুয়ারি মাসে নতুন করে ৩০টি ছাগল তুলেছি। টিকা দেয়ার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়েছিলাম তবে তীব্র সংকটের কারণে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে খামারের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায় জানান, ঢাকা থেকে টিকা আনার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। টিকা পেলে সোমবার নাগাদ পিপিআর ভ্যাকসিন সরবরাহ করা যাবে।