অন্যদিকে, মিলগেট এলাকার আখের মূল্য বাবদ চিনিকল কতৃপক্ষের কাছ থেকে পাওনা রয়েছে আখচাষীদের ৪ কোটি টাকা।
বুধবার সকালে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আখচাষী ও শ্রমিকরা তাদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীণ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ফরিদপুর চিনিকলের প্রধান ফটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
এ সময় শ্রমজীবী ইউনিয়নের সভাপতি শাহ্ মো. হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু, আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, শ্রমজীবি ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্দুল বারিক বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ রয়েছে। সময়মত আখচাষীদের পাওনা পরিশোধ না করা, কর্মরতদের সময়মত বেতন-ভাতা না দেয়া, সময়মত চিনি বাজার ধরে না রাখা ইত্যাদি কারণে আখচাষী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ভুগতে দেখা যায়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা আরও বেশি খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন।
এদিকে, চিনিকলে কর্মরত প্রায় ৮০০ শ্রমিক-কর্মচারীরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও চলতি মে মাসের বেতন না পেয়ে আর্থিক সংকটে দিন কাটাছেন। অনেকে নিত্যপণ্যের বাজার না করতে পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অন্যদিকে, আখচাষীদের আখের মূল্য বাবদ ফরিদপুর চিনিকল কতৃপক্ষের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি এবং স্থায়ী ও মৌসুমী এবং দৈনিক ভিত্তিতে (ম্যান-ডে) মুজুরি কমিশনের কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রায় ৯ কোটি, অবসরপ্রাপ্তদের গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রায় ১৮ কোটিসহ মোট ৩১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু জানান, বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক কর্মচারীদের সকল বকেয়া বেতন-ভাতা, আখচাষীদের আখের মূল্য পরিশোধ ও অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওনা টাকা পরিশোধের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য শিল্পবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নিকট মানবিক আবেদন জানিয়েছেন তিনি।