শ্রমিক
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক আবারো অবরোধ করায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) শ্রমিকদের এই অবরোধের কারণে বিকল্প পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর এবং কালিয়াকৈর থেকে ধামরাই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সাথে চলাচল করছে দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য যানবাহন।
শ্রমিক অসন্তোষকে ঘিরে নিরাপত্তাজনিত কারণে আশপাশের কয়েকটি কারখানা ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ৭ দিন চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধের পরে রবিবারে বেতন দেওয়া হবে, এমন আশ্বাসে শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার রাতে অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু গতকাল রবিবার বিকাল পর্যন্ত বকেয়া বেতন না পেয়ে শ্রমিকেরা আবারও অবরোধ-আন্দোলনে নামে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রাজিব হোসেন জানান, কিছু শ্রমিক বেতন পেলেও অনেকে এখনো তাদের বকেয়া বেতন পায়নি। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করেছে। দুপুরের পর বাকি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা রয়েছে। তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও শ্রমিকরা আরও জানায়, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার সারাবো এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলোতে কমপক্ষে ৪০ হাজার শ্রমিক কর্মরত। তাদের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বেতন পাননি।
তিনি জানান, বকেয়া বেতনের দাবিতে গত ১৪ নভেম্বর আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকের বেতনের টাকা পরিশোধের চূড়ান্ত আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। অনেকেই বেতনের টাকা পেয়ে ওই দিন রাতেই অবরোধ প্রত্যাহার করে। এতে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
শুক্র ও শনিবার ওই মহাসড়ক স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রবিবার সারাদিন অপেক্ষা করেও বাকি শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের টাকা না পেয়ে বিকালে ফের সড়ক অবরোধ করে। রাতের বিরতির পর সোমবার সকাল থেকে আবারও অবরোধ শুরু করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: ৯ বিনিয়োগকারীর ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি
৩ সপ্তাহ আগে
শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বৃহস্পতিবার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন দুই কারখানার শ্রমিকেরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে আহত সহকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ।
হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকেরা ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এতে মহাসড়কে চলাচলকারী লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হন। অনেক গাড়ি বিকল্প পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর-সাভারে পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ, গাড়ি ও কারখানায় আগুন
শ্রমিকরা জানান, বুধবার (২০ নভেম্বর) জিরানী এলাকার হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার কারখানার সামনে বাসচাপায় তাদের ৩ শ্রমিক আহত হন। এর প্রতিবাদে আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ, ফ্লাইওভার নির্মাণ ও কারখানার অব্যবস্থাপনা দূর করাসহ ১১ দফার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
অপরদিকে, চক্রবর্তী এলাকায় এক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনের মতো সকাল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন।
মহাসড়ক অবরোধ করায় নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন। তবে উত্তরবঙ্গের যানবাহন বিকল্প পথ গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করছে। ঘটনাস্থলে সেনাসদস্যরা ও শিল্প পুলিশ এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: বেতন পরিশোধের আশ্বাসে গাজীপুরে শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার
১ মাস আগে
চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে। এছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
শ্রমিক ভাইদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে ড. সাখাওয়াত বলেন, আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন। আপনারা আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের কারখানা চলে এবং দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি মালিক পক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে এবং বেতন ভাতা পরিশোধ হয়েছে কিনা, শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
এছাড়া দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন আনাদায়কৃত বার্ডস গ্রুপকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে সুদমুক্ত ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এসডিএফের শহীদ পরিবার ও আহত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
গাজীপুরে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
অবরোধ প্রত্যাহার করার মাত্র দুই ঘণ্টা পর গাজীপুর মহানগরের মোগরখারের টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, তিন মাসের বকেয়া বেতন কখন কীভাবে পরিশোধ করা হবে তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে তারা আবারও অবরোধে নামেন। এর আগে কিছুটা বিভ্রান্তির কারণে তারা সড়ক থেকে উঠে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকরা আরও জানায়, তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম বিলসহ সব পাওনাদির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বেতন ভাতা পরিশোধ না হওয়ায় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হন।
তারা বলছেন, বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, এদিকে দুই ঘণ্টা পর আবারও অবরোধ সৃষ্টি করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-বাইপাস সড়কে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। অফিস ও কর্মস্থল থেকে ফেরা লোকজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর এই তিনদিন ধরে যে সকল পরিবহন চালকরা ও লোকজন সড়কে আটকে আছেন তারা পড়েছেন যন্ত্রণায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
১ মাস আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ধর্মঘটে শ্রমিকরা, পণ্য পরিবহন বন্ধ
নিয়োগপত্র ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ধর্মঘট শুরু করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাইম মুভার ট্রেইলার (কন্টেইনার পরিবহন) শ্রমিকরা। এতে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান বলেন, ‘আগের ধর্মঘটের সময় তারা আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা, বিআরটিএ ও শ্রম অধিদপ্তর এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা দুই দফা বৈঠকে বসেন। বিভিন্ন সময় দাবি মানার আশ্বাস দিলেও আইনি জটিলতার কথা বলে নিয়োগপত্র দিতে অনীহা দেখান তারা। তাই আমরা মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেছি।’
এর আগে, চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও সরকার ঘোষিত মজুরির দাবিতে গত ২১ অক্টোবর সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠন। টানা ৩৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির পর সমঝোতার আশ্বাস পেয়ে তারা কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকের কথা থাকলেও সেটি সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হয়।
সভায় মালিক পক্ষ ঘোষণা দেন পরদিন (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস কক্ষে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে নিয়োগপত্র দিতে মালিকপক্ষ আপত্তি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলের মৃত্যু
১ মাস আগে
বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, তার সরকার সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে গণ্য করা যাবে না কিন্তু তারা বাংলাদেশ বা অন্য দেশের যেখানেই আসুক না কেন। আমি এখানকার মতো আগেও প্রকাশ্যে এ কথা বলেছি।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বাংলাদেশকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি বা বিদেশি- কারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শ্রমিক ইস্যুতে এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেশের সকল মানুষের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
আনুমানিক ৮ লাখ বাংলাদেশি এখন মালয়েশিয়ায় বসবাস ও কাজ করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ অভিবাসী হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি তার পুরনো বন্ধুকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে পেরে 'অত্যন্ত আনন্দিত', কারণ তারা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চেনেন।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং পূর্ববর্তী সরকারের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথাও বলেন।
তারা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকস্থলে যাওয়ার জন্য একই গাড়িতে উঠেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ- এই তিনটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা সহায়তা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের 'সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার' হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উত্থাপন করা হয়।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সফরটি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর এবং টেকসই বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী 'কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ'র ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার কোম্পানি ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সমস্যা দ্রুত সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, দুর্নীতি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়ের সঙ্গে তারা আপস করে না।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে অতি সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন এবং গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এটিই বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি কয়েক ঘণ্টা কাটান।
অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হাই টি-এর আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে সই করেন বলে ইউএনবিকে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধনী বেশ কয়েকটি কোম্পানিসহ মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং এখন শিক্ষাসহ আরও বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।
সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: পুরোনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব আনন্দিত: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর পর ইউনূস
২ মাস আগে
শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: সচিব
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আশা করছি সবাই শান্ত হবে।’
সচিব বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকপক্ষ সবাইকে অন বোড করে আমরা এটা নিরসন করব।’
আরও পড়ুন: ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিশুশ্রম প্রতিরোধ নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ কথা বলেন।
তিন দিন ধরে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জিনিসই অ্যাড্রেস করছি। সেখাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সবাই আমরা মনিটর করছি।’
শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটার জন্য আমরা সংলাপ করছি। প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ দূত আমার এখানে আসবেন। এটা কীভাবে দ্রুত নিরসন করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনে মনোযোগী হতে হবে: সচিব
গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীনের মেডিকেল টিম সন্তুষ্ট: সচিব
২ মাস আগে
তিন দিন ধরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে শ্রমিকরা
সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
এছাড়াও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, ও বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা বার্ডস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। তিন দিনেও শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো যায়নি। যার ফলে এখন পর্যন্ত মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
বিষয়টি সমাধানের জন্য বার্ডস গার্মেন্টসের কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানায় শিল্প পুলিশ।
এদিকে আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ প্ররোচনায় এবং সেনাবাহিনী ও র্যাবের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ৩৬ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুই থেকে একটি ছাড়া সকাল থেকে আশুলিয়ার সব তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে টহল দিচ্ছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে আশুলিয়ায় ২১৯ কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি পোশাক কারখানার নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে এক শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় ওই ভবনের লিফটের ৪০ ফুট নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন (২০) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ক্রাউন ওয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের একজন শ্রমিক। তিনি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার আমতলা কাজীপাড়ার আজাদ হোসেনের ছেলে। তার বড় ভাই সেলিম হোসেনও একই কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলশানে ২ জনের লাশ উদ্ধার
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নাঈম আহমেদ জানান, সাদ্দাম হোসেন এই কারখানায় গার্মেন্ট সেকশনে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরি করতেন। গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি ডিউটি করেছেন, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার তার বড় ভাই সেলিম হোসেন ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
রবিবার সন্ধ্যার পর দুর্গন্ধ শুরু হলে ঘটনাটি টের পেয়ে থানাকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ। পরে কারখানার নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে এই শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জাকের পার্টির সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
২ মাস আগে