আক্রান্ত হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রাশিয়ার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পরমাণু প্রতিরোধ বিষয়ক এক বৈঠকে পুতিন বলেন, শত্রুরা যদি প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবে রাশিয়া।
বৈঠকে পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নীতির ভিত্তি হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একে অবশ্যই বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, পরমাণু শক্তিধর নয় এমন যেকোনো রাষ্ট্রের রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ বা সমর্থন থাকলে দেশটিতে তাদের যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংঘাতে সরাসরি জড়ানোর ব্যাপারে পশ্চিমাদের পুতিনের হুঁশিয়ারি
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সীমান্তের ওপারে কৌশলগত বিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, হাইপারসনিক ও অন্যান্য যুদ্ধবিমানসহ মহাকাশ থেকে আক্রমণকারী অস্ত্রের ব্যাপক উৎক্ষেপণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
পুতিন উল্লেখ করেছেন, বর্তমান প্রতিরোধ নীতির সমস্ত ব্যাখ্যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আধুনিক সামরিক হুমকি ও ঝুঁকির সঙ্গে সাবধানতার সামঞ্জস্যপূর্ণ ও আনুপাতিক। দেশটি পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের জন্য একটি ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীল’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে।