শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলি যে আফ্রিকা জুড়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী আশার হাওয়া বইছে। যার প্রধান কারণগুলোর একটি প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।’
আহমেদের রূপকল্প ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়াকে ঐতিহাসিক পুনর্মিলন অর্জনে সাহায্য করেছে জানিয়ে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, তিনি গত বছর এ শান্তিচুক্তি সইয়ে সাক্ষী হতে পেরে সম্মানিত হয়েছিলেন।
‘এ মাইলফলক ওই অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পাওয়ার নতুন সুযোগ খুলে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী আহমেদের নেতৃত্ব আফ্রিকার ভেতরে ও বাইরে অতীতের বিরোধ মীমাংসা ও মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে অন্যদের জন্য চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে,’ বলেন আন্তোনিও গুতেরেস।
‘শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনে’ প্রচেষ্টার জন্য ২০১৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
তার উদ্যোগের ফলে গত বছর সই হওয়া শান্তিচুক্তি ইরিত্রিয়ার সাথে প্রায় ২০ বছর ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটায়। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত চলা সীমান্ত যুদ্ধের পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
নরওয়ের অসলো থেকে শুক্রবার ১০০তম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য ২২৩ ব্যক্তি ও ৭৮ প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের তালিকায় ছিল।