আফ্রিকা
জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি: জি-২০ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শনিবার ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বলেছেন, অভিবাসী প্রবাহ রোধে সহায়তায় আগামী পাঁচ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও মানিয়ে নিতে আফ্রিকাকে ৩ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইতালি।
তিনি বলেন, ‘ইতালি তার জলবায়ু তহবিলের ৭০ শতাংশেরও বেশি আফ্রিকার জন্য বরাদ্দ রাখবে। এর অর্থ হচ্ছে- আগামী ৫ বছরে ৩ বিলিয়ন ইউরো প্রশমন ও অভিযোজন উদ্যোগের জন্য সমানভাবে নির্ধারিত থাকবে।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মেলোনি বলেন, ‘অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া 'রোম প্রসেস' এর অংশ হিসেবে এই অঙ্গীকার করা হয়েছে। যা ইতালি জুলাইয়ে আহ্বান করেছিল এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি নতুন মডেল গড়ে তোলা, উন্নয়ন সৃষ্টি করা, বৈধ অভিবাসন পথকে উৎসাহিত করা এবং অবৈধ অভিবাসন পাচারকারীদের শক্তিশালী অপরাধী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এইসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হতাশাকে কাজে লাগায়।’
মেলোনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল হিসেবে জ্বালানি ব্যবহারের অভিযোগ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় অবশ্যই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং মরক্কোতে ভূমিকম্পে ৮২০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ইতালীয় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে শুক্রবার ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর আরও বাড়ল।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায় যে দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত দশ দিনে প্রায় ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
সার্বিয়ায় ট্রাকের অ্যালুমিনিয়াম রোলের ভিতর থেকে ৯ অভিবাসী উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, তিউনিসিয়ার মর্গগুলোতে জায়গা নেই এবং কর্মকর্তারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের বিচার কর্মকর্তা ফৌজি মাসমুদি বলেছেন, মঙ্গলবার আমাদের কাছে হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে ২০০ টিরও বেশি লাশ ছিল। যা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জন্য তাদের একটি কেন্দ্রীয় মর্গ আছে।
মাসমুদি বলেন, প্রচুর লাশ তীরে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা জানি না তারা কারা বা কোন জাহাজ থেকে তারা এসেছে; তাই ক্রমেই মর্গে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বাড়ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার মতে, গত দেড় সপ্তাহে মোট প্রায় ৩০০ জন মারা গেছেন এবং চলতি বছর ৮২৪ জন মারা গেছে।
ন্যাশনাল গার্ডের হাউসেম এডদিন জেবালি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর পচনশীল অবস্থা দেখে বোঝা যায় যে তারা টানা কয়েকদিন পানিতে ডুবে ছিল।
তার মতে, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মৃত্যু নজিরবিহীন।
সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের মিসিং মাইগ্রেন্ট প্রজেক্টের তথ্যানুসারে, শুধুমাত্র গত ১০ দিনে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
পানামায় বাস দুর্ঘটনায় ৩৯ অভিবাসী নিহত
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি আফ্রিকার ২ সিংহ ও ৮ ওয়াইল্ড বিস্ট
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক জোড়া সিংহ এবং ৮টি ওয়াইল্ড বিস্ট। সিংহ জোড়ার মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী। ওয়াইল্ড বিস্টের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশেষ বাক্সে করে প্রাণিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। তবে আপাততে এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হবে না। ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব বন্যপ্রাণী সরবরাহকারীর তত্ত্বাবধানে চিড়িয়াখানায় থাকবে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলো হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ‘বর্তমানে চিড়িয়াখানায় নোভা নামের একটি সিংহী রয়েছে। সে বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তার সঙ্গী বাদশাহ নামের সিংহটি দুই মাস আগে মারা যায়। এ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কম বয়সী সিংহ-সিংহী জুটি আনা হয়েছে। এ জুটি সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্কে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের কোথাও থেকে না পাওয়া আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের টাকায় বদলে গেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বতসোয়ানার সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার সঙ্গে একটি চুক্তি এবং একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
এরমধ্যে একটি হলো, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং অপরটি হলো দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে দেশটির প্রতিমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে-এর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা এ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রতিমন্ত্রী দুই দিনের সফরে বতসোয়ানায় রয়েছেন। এসময় বতসোয়ানায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং শাহরিয়ারের এই সফরকে সম্পর্ক জোরদার করার পারস্পরিক ইচ্ছার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, বতসোয়ানা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে এবং সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষই জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা করছে এবং সংস্থাগুলোতে একে অপরকে সমর্থন করছে।
লেমোগাং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
৭০ বছর পর ভারতে ফিরে এসেছে চিতাবাঘ
আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণার ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের পরে ভারতে ফিরে এসেছে চিতাবাঘ।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে একটি বিশেষ বিমানে আটটি চিতাবাঘ ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের পাশাপাশি গণনা করা হবে হরিণ ও শূকর
সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়ায় চিতাবহনকারী বিমানটি অবতরণ করেছিল। পরে চিতাগুলোকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটটি চিতার মধ্যে পাঁচটি নারী এবং তিনটি পুরুষ, চিতাগুলো দুই থেকে ছয় বছর বয়সী।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২১ বছরে ৪০ বাঘের মৃত্যু
দ্রুতগতির চিতাগুলোকে এক মাস ধরে কোয়ারেন্টাইনের রাখার পর পার্কে ছেড়ে দেয়া হবে।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাঙ্কিপক্সকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারির ব্যাপারে ডাব্লিউএইচও’র কমিটি গঠন
আফ্রিকার বাইরেও আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা হিসাবে বিবেচনা করা উচিত কিনা তা নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞদের একটি জরুরি কমিটি গঠন করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন,তিনি ২৩ জুন জরুরি কমিটি আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা ভাইরাসটি আফ্রিকার বাইরের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
মাঙ্কিপক্সকে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি বিষয় হিসাবে ঘোষণা করা মানে রোগটিকে বিশ্বব্যাপী একটি হুমকি বলে গণ্য করা।
যুক্তরাজ্য সোমবার জানিয়েছে, দেশে মাঙ্কিপক্সের ৪৭০ টি কেস শনাক্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই সমকামী বা উভকামী পুরুষদের মধ্যে রয়েছে।
টেড্রোস বলেছেন, ডব্লিউএইচও মাঙ্কিপক্সের টিকা দেয়ার বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনে আরও ১০৪ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
ব্রাজিলে আরও একজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্তে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। বৃহস্পতিবার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ এই নির্দেশনা জারি করে।
দেশগুলো হলো, বতসোয়ানা, এস্বাতিনি, ঘানা, লেসোথো, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে।
নির্দেশনা অনুযায়ী আদেশটি শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, এই সাতটি দেশ থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের তাদের নিজস্ব খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের সপ্তম ও ১৪ তম দিনে যাত্রীদের নিজস্ব খরচে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সপ্তম দিনের পরীক্ষার ফলাফলে কোভিড-১৯ পজিটিভ যাত্রীদের আলাদা করা হবে তবে করোনা নেগেটিভ যাত্রীরা ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
এই সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের চেক-ইন করার সময় বাংলাদেশে হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পূর্ববর্তী নির্দেশিকাতে পরিবর্তনের সাথে, ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং সমস্ত গন্তব্য থেকে আসা ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ছাড়া সকল যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেতিবাচক ফলাফলের প্রমাণ থাকতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার জানিয়েছে সারা বিশ্বের ২৩ টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফ্রিকায় আমাদের বিমান যায় না, তবে অন্য কোনো এয়ারলাইন্স সেদেশ থেকে আসলে তাদেরকে বোডিং পাস দেয়া হবে না। আর বোডিং পাস যদি দিতেও হয় তবে যাদের ডাবল ভ্যাক্সিন দেয়া আছে এবং টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ তাদেরকে দেয়া হবে। এছাড়া দেশে এসে তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।বৃ্হস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সালুটিকর এলাকায় উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা কেপ ফাউন্ডেশনের 'আরফান ভিলেজ' এর উদ্বোধনকালে ওমিক্রন সতর্কতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারত ভ্রমণের লাল তালিকায় বাংলাদেশ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রীতিনি বলেন, আফ্রিকার আশেপাশের দেশগুলোতে যারা আছেন তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য অথবা এখন দেশে না এসে পরে আসার জন্য সবগুলো মিশনকে বলে দেয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ প্রস্তুত, এটা সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব আসবেন। তার সফরের পর এই বিষয়টি জানা যাবে।এর আগে দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সংক্ষিপ্ত সফরে বিমানযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
আফ্রিকা থেকে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ বিস্তার লাভ করা আফ্রিকা মহাদেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' মোকাবিলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ওমিক্রন করোনার নতুন একটি ভ্যারিয়ে্ন্ট, এটি সাউথ আফ্রিকায় দেখা দিয়েছে। এটি আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, বাংলাদেশে কীভাবে ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রথমে হলো যাতে না আসে বা ঠেকানো যায়, সেই চেষ্টা করা। যদি আসে, কীভাবে ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করবো! আক্রান্তদের চিকিৎসা বিষয়ে কাজ করবো। বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের কীভাবে গ্রহণ করবো, কোয়ারেন্টাইন করবো সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ওমিক্রন ডেল্টা থেকেও বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আক্রান্ত হলে রোগীর মৃদু লক্ষণ থাকে। রোগী দুর্বল হয়, হালকা কাশি থাকে, তবে জ্বর হয় না। যে কারণে বুঝা মুশকিল হয়ে থাকে।
আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। করোনা নিয়্ন্ত্রণ ও চিকিৎসা মোকাবেলায় যে সব অবকাঠামো তৈরি করেছি এগুলো সেই অবস্থায় আছে। বরঞ্চ আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেডও ১৮ হাজার আছে, ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনও আছে। লিকুইড অক্সিজেনের পরিমাণও অনেক, প্রায় ৩০০ টনের কাছাকাছি বাংলাদেশ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য যেসব দেশে এখনও ইনফেকশন কম, সেখানে থেকে টেস্টের সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু সেই দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, সেই দেশের লোক আসলে আমরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কথা ভাবছি। এটাই আমরা করবো।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠক: বিদেশে যাওয়ার মাঝপথে দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে বলা হয়েছে, যাকে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করতে দেয়া হয়েছে, তারা অনেক সময় হোটেলে থাকেনি। ফাঁকি দিয়ে বের হয়েছে, বাড়িতে পর্যন্ত চলে গেছে। আমরা এ বিষয়ে শক্ত হওয়ার জন্য বলেছি।
কোয়ারেন্টাইনের খরচ কে বহন করবে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খরচটা নিজে বহন করবেন। কেউ যদি না পারেন তখন আমরা বিবেচনা করবো।
টেস্টের বিষয়ে আমরা ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি ৪৮ বা ২৪ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা যায় কিনা। আমাদের সীমান্তে মনিটরিংটা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক লোক যাওয়া-আসা করে, সেটাকেও একটু কমিয়ে আনা যায় কিনা-এ বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব জেলায় চিঠি দেবো। জেলা কমিটি উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটিকেও জানাবে। তাদের দায়িত্ব আমরা বলে দেবো। আমরা চাই, সামজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করা হোক। নতুন করে কোন অনুষ্ঠানে গ্রামগঞ্জে ও উপজেলায় যাতে না নেয়া হয়, সেদিকেও আমরা একটা পরামর্শ দেবো।
ওমিক্রন মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে চিঠি দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মসজিদের মাধ্যমেও যাতে আলোচনা হয়, ভুল ম্যাসেজ না দেয়া হয়। এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: গণঅনশনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিএনপির সমলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, চলাচলের সময় কেউ মাস্ক না পড়লে জরিমানা করা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলেছি তারা যাতে একটা ন্যাশনাল মনিটরিং সেল তৈরি করেন। এই সেলের মাধ্যমে সব জেলা ও উপজেলায় খোঁজখবর রাখবে ও তড়িৎগতিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যে সব সভা করে থাকি। এখন থেকে সভাগুলো, ফিজিক্যাল প্রেজেন্সগুলো একটু কমিয়ে দিয়ে ভার্চুয়াল সভার দিকে যাওয়ার জন্য। সব মিনিস্ট্রি যাতে করে এবং আমরাও সেটা ফলো করব ও এ বিষয়ে পরামর্শ দেবো।’
ইউরোপের দেশগুলোতেও ওমিক্রন ছড়িয়েছে, ওইসব দেশ থেকে লোকজন আসার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে ছড়িয়েছে আমরা জানি, কিন্তু অল্প। তাই ঢালাওভাবে তো আমরা ফ্লাইট বন্ধ করতে পারব না। যারা সংক্রমিত দেশ থেকে আসবে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা জোর দেবো। যে ১৫-২০ টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে সেইসব দেশগুলোকে আমরা আলাদাভাবে দেখব। প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টাও জোরদার করবো।
দ. আফ্রিকা থেকে ২৪০ জন দেশে, ফোন বন্ধ- ঠিকানাও ভুল
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' শনাক্ত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে ২৪৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন। তারা এসে ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনকি ঠিকানাও দিয়েছেন ভুল।
বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে তদারকির জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের করোনা প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে তারা বাড়িয়ে পতাকা লাগিয়ে দেবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় আমাদের দেশে ২৪০ জন লোক এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে। তাদের আমরা কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয় তারা সবাই মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা ঠিাকানাটাও ভুল দিয়েছেন। কাজেই এই ধরণেরও কাজ হয়ে থাকে। আমাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশ বা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যখন কেউ আসবে, আমরা তাদের আসতে নিৎসাহিত করতে চাইব। তাদের সাথে আমাদের যাতে কোন ফ্লাইট না থাকে। ওখান থেকে যারাই আসুক তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক। সেটা হোম কোয়ারেন্টাইন না, ইনস্টিটিউশনাল (প্রাতিষ্ঠানিক) কোয়োরেন্টাইন। সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে, সেই কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজমেন্ট খুব শক্ত হতে হবে। আমরা চাই সশস্ত্র বাহিনীর ব্যক্তিবর্গরা সেই কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজ করবেন।’
নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস
করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বিষয়ে মানুষের মধ্যে অনাগ্রহ দেখা দেওয়ায় 'নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস' অর্থাৎ 'টিকা না নিলে সেবা পাওয়া যাবে না' ব্যবস্থায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এরমধ্যে সিঙ্গেল ডোজ ৬ কোটির মতো, ডাবল ডোজ ৪ কোটির কাছাকাছি হয়ে গেছে। আমরা স্কুলের ছাত্র, বস্তিবাসী, সকল পর্যায়ের লোকজনকে টিকা দেয়ার জন্য একেবারে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত গিয়েছি। ফাইজারের টিকাও আমরা বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নিয়ে গেছি। তারপরও দেখা যায় অনেকে টিকা এখনও টিকা নেননি। আগে যে আগ্রহটা পেয়েছি টিকা নেয়ার সেই আগ্রহটা একটু কম।
‘আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেটা সকলেই একমত হয়েছেন- আগে যেমন ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ছিল ছিল, এখন আমরা বলতে চাচ্ছি ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’। এটা আমাদের পরামর্শ রইল। এটা করতে পারলে আমাদের টিকা কার্যক্রমটা আরও বেগবান হবে, টিকা নেয়ার জন্য লোক এগিয়ে আসবে।
কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখানে বসেই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ শ্লোগানটা তৈরি হয়েছে। আমরা এটা চিঠির মাধ্যমে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবো। তারা এটাকে যার যার মতো করে এনফোর্স করবে। টার্গেট লেভেলে আমরা ব্যবসায়িক সংস্থাকে জানিয়ে দেবো। সরকারিভাবে সরকারি সংস্থাকে জানিয়ে দেবো।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
যে কোন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সরকার কর্তৃক ভ্রমণকারীর পরিচয় ও জাতীয়তা প্রত্যয়নকৃত নথি; অথবা খুব ছোট করে বলতে গেলে পাসপোর্টের সাথে ভিসার কথাটা সহসাই চলে আসে যেখানে ভিসা নামের এই অনুমতি পত্রটি একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে প্রদান করে থাকে সেই দেশে প্রবেশ ও একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে অবস্থান করার জন্য। একটি দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের সময়সীমা সহ যাবতীয় নিয়ম-কানুন নির্ভর করে পাসপোর্টধারীর দেশটির উপর। কখনো এই নিয়মে খুবই কড়াকড়ি, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে একদম শিথিল। চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা কোন কোন দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা
ইন্টার্ন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির ডাটার উপর ভিত্তি করে হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স প্রতিবছর ২২৭টি গন্তব্যে ১৯৯টি পাসপোর্টের ভিসা প্রক্রিয়া যাচাই করে বিশ্বের দেশগুলোর র্যাংকিং প্রকাশ করে। ২০২১ এর সংস্করণ অনুসায়ী বাংলাদেশ-এর র্যাংকিং ১০৮-এ, যা গত বছরের তুলনায় ১০ ধাপ নিচে। এই র্যাংকিং-এ বাংলাদেশি বৈধ পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের মোট ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারবেন।
তন্মধ্যে ১৯টি দেশে রয়েছে অন-অ্যারাইভাল ভিসা, অর্থাৎ গন্তব্যের দেশটিতে পৌঁছে প্রবেশের ঠিক আগ মুহুর্তেই আবেদন করে ভিসা পাওয়া যাবে। ইলেক্ট্রনিক ভিসা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময়। এছাড়া বাকি ২০টি দেশে প্রবেশের সময় কোন ধরনের ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
অন-অ্যারাইভাল ভিসার ১৯টি দেশ
আফ্রিকার ১৩টি দেশের মধ্যে রয়েছে মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, টোগো, উগান্ডা, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরস দ্বীপপুঞ্জ ও গিনি-বিসাউ।
এশিয়ার যে তিনটি দেশে পৌছার পর ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো মালদ্বীপ, নেপাল, ও তিমুর-লেস্তে। আমেরিকার শুধু বলিভিয়াতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে। ওশেনিয়ার দেশগুলোর মধ্যে থাকছে সামোয়া ও টুভালু।
কোন রকম ভিসা কার্যক্রম ছাড়া ২০টি দেশ
আফ্রিকার ২টি দেশ গাম্বিয়া ও লেসোথো। এশিয়ার ২টি দেশ ভুটান এবং ইন্দোনেশিয়া,ক্যারিবিয়ান ১১টি দেশের মধ্যে থাকছে বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিট্স এবং নেভিস, সেন্ট ভিন্সেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। ওশেনিয়ার ৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভানুয়াতু, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া এবং নিউ।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
বাংলাদেশি পাসপোর্টের সামগ্রিক অবস্থা
হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশের সাথে একই সারিতে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ কসোভো ও উত্তর-আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। এই দেশ দুটিতেও বিশ্বের ৪০টি দেশে ভ্রমণের পূর্বে নিজেদের দেশে কোন রকম ভিসা সংক্রান্ত কর্মকান্ডের মুখোমুখি হতে হবে না।
বিগত দুই দশক জুড়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থা বিবেচনা করলে পশ্চাদমুখী দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয়। ফ্রি ভিসায় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী দেশ ভ্রমণের সুযোগ ছিলো ২০১০ এবং ২০১৪ সালে। বিশ্বের মোট ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যেতো। বছর দুটিতে বাংলাদেশের র্যাংকিং ছিলো যথাক্রমে ৮৫ এবং ৮৬।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো সর্বোচ্চ ৬৮তম। অবশ্য সে সময় হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্সের হিসেবকৃত গন্তব্যের সংখ্যা এখনকার (২২৭) তুলনায় অনেক কম ছিলো। ২৮টি দেশে ভিসা ছাড়া পার্মিট ছিলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের।
২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের সর্বনিম্ন সংখ্যা ছিলো ৩৮ এবং বছরটি ছিলো ২০১৭। অন্যান্য বছরগুলোতে সংখ্যাটি ৩৯ থেকে ৪১ এ উঠানামা করেছে সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ এর সংখ্যাটিই (৪০) এ বছর আবার ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: ১৩৯৩১ বাংলাদেশির বৈধ দ্বৈত পাসপোর্ট রয়েছে
শেষ কথা
ইন্টার্ন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির ডাটা মতে র্যাংকিং-এর দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রমাগত পিছিয়েই চলেছে। ২০১২ থেকে ২০১৩ তে ৯৩ থেকে ৮৫তম স্থানে এসেছিলো। ২০১৫ থেকে ২০১৭ তে পর পর তিন বছরে র্যাংকিং ৯৯ থেকে ৯৬; অতঃপর ৯৫তে উঠেছিলো। ২০১৮ থেকে ২০২০ এর পরিসংখ্যানটাও একই। ১০০ থেকে ক্রমান্বয়ে ৯৮। কিন্তু ২০২১ সালের রেকর্ডটা গতছয় বছরের অল্প অল্প করে ওপরে ওঠার মাত্রাটাকে একদম ম্লান করে দিয়েছে।