গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বুধবার বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৭ জন লেবানিজ নিহত ও ১৬ হাজার ৫৯৩ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ৩১৬টি শিশু ও ৭৯০ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৫৬টি শিশু ও ৩ হাজার ৩৫৭ জন নারী।
আবিয়াদ জানান, এ পর্যন্ত ৬৭টি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল, যার মধ্যে ৪০টি হাসপাতালে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও সাতটি হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
২০০৬ সালে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের পর এটিকেই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ শুরুর পর গত ২৭ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর লেবাননের বাস্তুচ্যুত মানুষ বাড়ি ফিরছে
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে উভয় পক্ষই ৬০ দিনের জন্য লড়াই-হামলা বন্ধে সম্মত হয়েছে। এছাড়া ধীরে ধীরে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ইসরায়েল এবং লিটানি নদীর উত্তরাঞ্চল থেকে পিছু হটছে হিজবুল্লাহ।
যুদ্ধবিরতি হলেও উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ফলে ফের যুদ্ধ শুরু হওয়ার চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র বুধবার সিনহুয়াকে জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর শেবার পশ্চিমে চারটি সামরিক স্থাপনায় ফের সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।