এদিকে চীনে থাকা অন্যান্য দেশের লোকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত নেয়া শুরু হয়েছে। চীন ছাড়াও সারাবিশ্বে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মারা গেছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৩৭ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জনই এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বসবাস করতেন। অন্যজন চীনের দক্ষিণের প্রদেশ সিচুয়ানের অধিবাসী।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: লক্ষ্মণ, প্রতিরোধ ও আরও তথ্য
এরই মধ্যে, উহান শহর থেকে ১৯৫ জন আমেরিকানকে তাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া সেনা ঘাঁটিতে তাদেরকে তিনদিনের পর্যবেক্ষণে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করা হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বিশেষ ফ্লাইটে ফেরত নেয়া ২১০ জন জাপানির মধ্যে নয়জনের শরীরে কাশি ও জ্বরের লক্ষণ পাওয়া গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সংসদে এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, চীন থেকে বুধবার নিজ দেশে ফেরত নেয়া ২০৬ জন জাপানিকে পরীক্ষা করে তাদের তিনজনের মাঝে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিকে নিজ দেশের লোকদের চীন থেকে ফেরত নিতে ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশ প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনে আক্রান্তের সংখ্যায় সার্সকে ছাড়িয়ে গেল নতুন করোনাভাইরাস