ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে কোভিড-১৯ এ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৪২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৯৮০ জনে। মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮১৯ জন।
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে চলমান লকডাউন ৪ মে’র পরে আরও দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ অনুযায়ী এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।
এছাড়া, ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী দেশটির জেলাগুলোকে লাল (হটস্পট), সবুজ ও কমলা অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে লকডাউনের সময় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী নতুন একটি দিকনির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
নির্দেশনায় সবুজ ও কমলা অঞ্চলে থাকা জেলাগুলোতে চলাচলের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য শিথিলতা দেখানো হয়েছে।
যেসব জেলায় এখন পর্যন্ত বা গত ২১ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি সেগুলো সবুজ অঞ্চলে পড়েছে। আর বর্তমানে মোট আক্রান্ত, সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হার, পরীক্ষা বৃদ্ধি ও নজরদারির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কিছু জেলাকে লাল অঞ্চলে রাখা হয়েছে। যে জেলাগুলো লাল বা সবুজ অঞ্চলের মাঝে নেই সেগুলো থাকছে কমলাতে।
বিভিন্ন জেলাকে লাল, সবুজ ও কমলা অঞ্চলে রাখার তথ্য প্রতি সপ্তাহে বা প্রয়োজনে আরও আগে হালনাগাদ করা হবে এবং তা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে জানাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো তাদের বিভিন্ন জেলাকে লাল ও কমলা অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেগুলোকে লাল ও কমলা হিসেবে চিহ্নিত করবে সেগুলোর শ্রেণিকরণ তারা হ্রাস করতে পারবে না।