সোমালিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মামুনুর রহমান মালিক বলেন, প্রকল্পটি চলমান সমন্বয়হীনতার শূন্যতা পূরণ, পর্যবেক্ষণ, টিকাদান, কোভিড-১৯ এর কার্যক্রমে সহযোগিতা এবং দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মহামারী থেকে উদ্ধারে আরো অধিক পরিমাণ ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা।
মোগাদিসুতে এক বিবৃতিতে মালিক বলেন, সোমালিয়ার রাজধানীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে দেশটির সরকার ঊর্ধ্বগতির কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করতে পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাইরাসটির পুনরুত্থান রোধ করবে। এটি অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারীর বিরূপ প্রভাবও কমিয়ে দেবে। এরমধ্যে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান, যা ইতোমধ্যে গত দু’বছর ধরে উল্লেখযোগ্যহারে করা হয়েছে।’
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সোমালিয়ায় ১ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু ও ২৭ হাজার ১৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটির রোগ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এখনও দুর্বল ও ভঙ্গুর, সুসংগঠিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে সোমালিয়ার মাত্র ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা সতর্কতার মাধ্যমে দেয়া হয়। দেশটির মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ পূর্ণ টিকার আওতায় এসেছে, টিকার আওতায় না আসা আরও অনেক মানুষ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মালিক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ –এর ধরণ বিস্তার রোধ, মৃত্যু হ্রাস এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অসুস্থতা কমাতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এটি সরকার ও ফেডারেল রাজ্যের সদস্যদের সহযোগিতা ও তদারকিতে আবিষ্কার ও গবেষণাসহ সমস্যা চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষাগারের নিশ্চয়তা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ শনাক্ত, তথ্যের অগ্রগতি ও আদান প্রদান করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি কার্যকর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ কোভিড-১৯ দ্বারা ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মৃত্যু থেকে জীবন বাঁচানো, রোগের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।
সোমালিয়ার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত দুর্বল মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ও প্রশমনে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে সেসকল দুর্গম এলাকায় যেখানে ৪৭ শতাংশ মানুষ বসবাস করে, যেখানে রোগ শনাক্ত করা দুর্বল ও অপূর্ণ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, যেভাবে প্রতিবেদন করা হচ্ছে তাতে দেশের কোভিড-১৯ মহামারী ও রোগ বিস্তারের সত্যিকার সংখ্যা ও পরিধি হয়তো তুলে ধরে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল