সোমালিয়া
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের উপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদিঘী চত্বরে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যাদের জন্মই অগণতান্ত্রিক তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে: বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ংকর’- বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, 'দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই, উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।’
আরও পড়ুন: নাবিকদের উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব শিগগিরই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এরই মধ্যেই হয়েছে।'
এর আগে “চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, 'আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই শামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না। কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে, সবসময় করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
“চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব” আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আযোজক কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
কেএসআরএমের কর্মকর্তারা জানান, জাহাজটি আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। যাত্রাপথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা জাহাজের দখল নেয়।
জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জলদস্যুর কবল থেকে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জাহাজটির ২৩ নাবিকের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ
কেএসআরএম-এর মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বলে জানতে পেরেছি। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে জিম্মি ২৩ ক্রুর সবাই জাহাজের কেবিনে নিরাপদে আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
জিম্মি হওয়া ক্রুরা হলেন- ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেক্ট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো. আনোয়ারুল হক, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো. নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস মো. নূর উদ্দিন ও ফিটার মো. সালেহ আহমেদ। তাদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।
গোল্ডেন হক নামে পরিচিত এমভি আবদুল্লাহ গত বছর কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানায় আসে। জিম্মি জাহাজটিসহ কেএসআরএম গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। সে সময় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত করা হয়।
৭ মাস আগে
সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশটির রাজধানীর একটি ব্যস্ত সড়কের মোড়ে দুটি গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বিস্ফোরণস্থলে এক বিবৃতিতে রবিবার ভোরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
২০১৭ সালের অক্টোবরে একই স্থানে একটি ট্রাক বোমা হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল সোমালিয়ায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০
সোমালিয়ার সরকার আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব চরমপন্থী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে, যারা প্রায়ই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। যখন বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয় তখন গোষ্ঠীটি দায় স্বীকার করে না।
এই বছর নির্বাচিত সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটি আল-শাবাবের সঙ্গে যুদ্ধে রয়েছে এবং ‘আমরা জয়লাভ করছি’। সরকার মিলিশিয়া গ্রুপের সঙ্গে দেশের বড় অংশ দখলকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে এক নতুন অভিযানে নিযুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭৩
সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
২ বছর আগে
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
সোমালিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মামুনুর রহমান মালিক বলেন, প্রকল্পটি চলমান সমন্বয়হীনতার শূন্যতা পূরণ, পর্যবেক্ষণ, টিকাদান, কোভিড-১৯ এর কার্যক্রমে সহযোগিতা এবং দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মহামারী থেকে উদ্ধারে আরো অধিক পরিমাণ ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা।
মোগাদিসুতে এক বিবৃতিতে মালিক বলেন, সোমালিয়ার রাজধানীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে দেশটির সরকার ঊর্ধ্বগতির কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করতে পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাইরাসটির পুনরুত্থান রোধ করবে। এটি অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারীর বিরূপ প্রভাবও কমিয়ে দেবে। এরমধ্যে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান, যা ইতোমধ্যে গত দু’বছর ধরে উল্লেখযোগ্যহারে করা হয়েছে।’
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সোমালিয়ায় ১ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু ও ২৭ হাজার ১৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটির রোগ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এখনও দুর্বল ও ভঙ্গুর, সুসংগঠিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে সোমালিয়ার মাত্র ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা সতর্কতার মাধ্যমে দেয়া হয়। দেশটির মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ পূর্ণ টিকার আওতায় এসেছে, টিকার আওতায় না আসা আরও অনেক মানুষ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মালিক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ –এর ধরণ বিস্তার রোধ, মৃত্যু হ্রাস এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অসুস্থতা কমাতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এটি সরকার ও ফেডারেল রাজ্যের সদস্যদের সহযোগিতা ও তদারকিতে আবিষ্কার ও গবেষণাসহ সমস্যা চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষাগারের নিশ্চয়তা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ শনাক্ত, তথ্যের অগ্রগতি ও আদান প্রদান করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি কার্যকর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ কোভিড-১৯ দ্বারা ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মৃত্যু থেকে জীবন বাঁচানো, রোগের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।
সোমালিয়ার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত দুর্বল মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ও প্রশমনে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে সেসকল দুর্গম এলাকায় যেখানে ৪৭ শতাংশ মানুষ বসবাস করে, যেখানে রোগ শনাক্ত করা দুর্বল ও অপূর্ণ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, যেভাবে প্রতিবেদন করা হচ্ছে তাতে দেশের কোভিড-১৯ মহামারী ও রোগ বিস্তারের সত্যিকার সংখ্যা ও পরিধি হয়তো তুলে ধরে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
২ বছর আগে
সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে শুক্রবার একটি হোটেলে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, মোগাদিসুর জনপ্রিয় হায়াত হোটেলে এই হামলায় শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা ভবনে ঢোকার আগে হোটেলের বাইরে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা শুরু করে।
হামলা শুরুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যার দিকেও সেখানে গুলির শব্দ শোনা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলের ওপরের তলায় লুকিয়ে থাকা বন্দুকধারীদের আটকের চেষ্টা করেছে।
দেশটির ইসলামী চরমপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সোমালিয়ায় মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা নিহত প্রিয়জনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই, আহতদের পূর্ণ সুস্থতা কামনা করি।’
নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে অনেকেই বেসামরিক নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোগাদিশুর মদিনা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবদিরহমান এপিকে বলেন, হামলায় আহত অবস্থায় ৪০ জনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। নয়জনকে চিকিৎসার পর বাড়ি পাঠানো হলেও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল্লাহি হুসেন ফোনে এপিকে বলেছেন, ‘আমরা যখন হোটেলের লবির কাছে চা খাচ্ছিলাম তখন প্রথম বিস্ফোরণের পর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমি দ্রুত নিচতলায় হোটেলের কক্ষের দিকে ছুটে যাই এবং তালা লাগিয়ে দেই। জঙ্গিরা ওপরের তলায় গিয়ে গুলি শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী এসে আমাকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমি রুমের ভিতরেই ছিলাম।’
হোটেলের রিসেপশনের বাইরে মাটিতে বেশ কিছু লাশ পড়ে থাকতে তিনি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
পড়ুন: সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১০
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
২ বছর আগে
সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১০
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে শুক্রবার একটি হোটেলে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোগাদিসুর জনপ্রিয় হায়াত হোটেলে হামলার ঘটনাস্থলে আরও বেশ কয়েকজন আহত এবং নিরাপত্তা বাহিনী শিশুসহ অনেককে উদ্ধার করেছে।
সন্ত্রাসীরা ভবনে ঢোকার আগে হোটেলের বাইরে বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা শুরু করে।
দেশটির ইসলামী চরমপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল্লাহি হুসেন ফোনে এপিকে বলেছেন, ‘আমরা যখন হোটেলের লবির কাছে চা খাচ্ছিলাম তখন প্রথম বিস্ফোরণের পর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমি দ্রুত নিচতলায় হোটেলের কক্ষের দিকে ছুটে যাই এবং তালা লাগিয়ে দেই। জঙ্গিরা ওপরের তলায় গিয়ে গুলি শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনী এসে আমাকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত আমি রুমের ভিতরেই ছিলাম।’
হোটেলের রিসেপশনের বাইরে মাটিতে বেশ কিছু লাশ পড়ে থাকতে তিনি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
কাবুলে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০
২ বছর আগে
সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে এক চেকপয়েন্টে শনিবার গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাজধানী মোগাদিসুর বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার জন্য এই চেকপয়েন্টটি ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়া সীমান্তে ১০ কেনিয়ান পুলিশ সদস্য নিহত
পুলিশের মুখপাত্র আব্দিফাতাহ আদম হাসান বলেন, বোমা হামলায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।
আল-কায়েদার সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব এর দায় স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীটি প্রায়ই রাজধানীতে এই ধরনের হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭৩
সোমালিয়ার হোটেলে জিম্মিদশার অবসান, নিহত ২৬
৩ বছর আগে
কেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, ৩ মার্কিনী নিহত
কেনিয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে রবিবার উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাবের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের তিন কর্মী নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান ও যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।
৪ বছর আগে
সোমালিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭৩
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে শনিবার সকালে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম ভয়াবহ হামলা।
৪ বছর আগে