দ্বীপের প্রধান শহর মাইলিনিনের মেয়র স্ট্রেটোস কিটেলিস বেসরকারি স্কাই রেডিওকে বলেন, ‘আগুন শিবিরের অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি ধ্বংস হয়ে যায় …।’ খবর এপির।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি খুব কঠিন পরিস্থিতি কারণ এখান থেকে যারা বাইরে গেছেন তাদের মধ্যে কিছু করোনা পজিটিভ ব্যক্তিও রয়েছেন।’
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রায় সাড়ে ১২ হাজার শরণার্থী মোরিয়া এবং তার আশপাশের এলাকার শিবিরে বাস করছিল, যেখানে এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে একজন সোমালি শরণার্থীর করোনা ধরা পড়ে। তারপরই সেখানে প্রচুর কড়াকড়ি চালু করা হয়।
দ্বীপের পুলিশ এবং ফায়ার কর্মকর্তারা এপিকে জানান, রাতারাতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে, আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আগুন নেভাতে যাওয়ার পর তাদের ‘বাধা দেয়া’ হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ায় এমন অভিযোগও উঠছে, করোনা নিয়ে কড়াকড়ির প্রতিবাদে এখানে আগুন লাগানো হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাদাগাদি করে থাকার জায়গাটিতে নমুনা পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয়ার পরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন লোক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বুধবার প্রথম দিকে, হাইওয়ে ধরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যা শিবিরটি মাইটিলিনের সাথে দক্ষিণে প্রায় ৫ কিলোমিটারের সাথে সংযুক্ত করেছে।
এখানে আশ্রয়প্রার্থীদের অনেকেই ইরাক ও সিরিয়া থেকে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পালিয়ে এসেছেন।