ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে তিনটি নীতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত শি ফেং। ফেংয়ের প্রস্তাবিত নীতি তিনটি হলো- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সাংহাইয়ে এক নৈশভোজের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য পরিষদ। অনুষ্ঠানে ভিডিও বক্তব্যে এ আহ্বান জানান ফেং।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে চলা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন যুগে প্রবেশের জন্য এই নীতিগুলো সঠিক পথের নির্দেশনা দেয়।’
‘আশা করছি, একটি স্থিতিশীল, দৃঢ় ও টেকসই পথে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’
চীনকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখলে তা কেবল ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকেই দুই দেশকে পরিচালিত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লিখিত তিন নীতি এবং এক চীন নীতির প্রতি দুই দেশেরই শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিৎ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে তাইওয়ান ইস্যুটি হচ্ছে সর্বপ্রথম রেড সিগনাল, চীনের সঙ্গে (কৌশলগত) সম্পর্কে থেকে কোনোভাবেই যা যুক্তরাষ্ট্রের অতিক্রম করা উচিত নয়।’
কোনো চ্যালেঞ্জই চীনের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না জানিয়ে ফেং বলেন, ‘চীনকে ঘিরে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করার যেকোনো প্রচেষ্টা আত্মঘাতী হবে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষায় চীনের জনগণের ইচ্ছা এবং সামর্থ্যকে কারও অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’
বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
ফেংয়ের ভাষ্যে, ‘শুল্ক, বাণিজ্য, প্রযুক্তি বা শিল্পক্ষেত্রে দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো পক্ষকেই বিজয়ী করবে না। স্বার্থপর মনোভাব আমাদের কেবল পেছনেই টেনে ধরে রাখে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যার মূল্য দিতে হয়।’
‘মার্কিন কোম্পানিগুলোর আরও বেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি উভয় দেশ ও গোটা বিশ্বের কল্যাণে জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃহত্তর পরিসরে সংলাপ ও সহযোগিতার প্রত্যাশা করে চীন।’