জর্জিয়ার পার্লামেন্টে বৈদেশিক প্রভাবের স্বচ্ছতা সম্পর্কিত আইন গৃহীত হওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক।
বুধবার (১৫ মে) দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আইনটি মত প্রকাশ এবং সংগঠনের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে।
তুর্ক বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো অনেকবার সতর্ক করলেও সেসব উপেক্ষা করেছে কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রণেতারা। জর্জিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের অধিকারের ওপর এই আইনের প্রভাব দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঝুঁকি তৈরি করবে।’
মঙ্গলবার কার্যকর হওয়া আইনটিতে বলা হয়েছে যেসব সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম সংস্থা বিদেশি উৎস থেকে তাদের তহবিলের ২০ শতাংশের বেশি সংগ্রহ করে 'বিদেশি শক্তির স্বার্থে কাজ করা সংস্থা' হিসেবে তাদের নিবন্ধন করতে হবে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘সংস্থাগুলো পরিচালনায় তহবিল সংগ্রহ, সুরক্ষা এবং ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু এই বাড়াবাড়ি আইনটি এই সংস্থাগুলোকে কলঙ্কিত করে অবিশ্বাস, ভয় এবং শত্রুতার পরিবেশের মুখোমুখি করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তাও তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। গুরুতর জনস্বার্থের বিষয়ে বিভিন্ন কণ্ঠস্বরকে দমন করা সুষ্ঠু আইন প্রণয়ন ও নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে সামনে আসা ঝুঁকিগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ের ক্ষমতাকে জটিল করে তুলবে।’
আইনটি স্থগিত করতে এবং কর্তৃপক্ষকে গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজ সংস্থার পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সঙ্গে সংলাপ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তুর্ক।
এর আগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ বল প্রয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
তুর্ক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের উচিত বিক্ষোভকারী ও তাদের পরিবারের ওপর হামলার খবরসহ বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সহিংসতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগগুলো দ্রুত তদন্ত করা।’
শীর্ষ এই কর্মকতা বলেন, 'আমি জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষকে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার অর্জনগুলো তুলে ধরতে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অধিকার-কেন্দ্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’