ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রথম বছর পূর্তির প্রাক্কালে সমর্থক দেশগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি (খসড়া) রেজ্যুলেশন পেশ করেছে।
যাতে ইউক্রেনের ‘সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ নিশ্চিত করে শান্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে পাওয়া রেজ্যুলেশনটির খসড়ায় শিরোনাম উল্লেখ ছিল- 'প্রিন্সিপাল আন্ডারলায়িং অ্যা কম্প্রিহেনসিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন'।
প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নভেম্বরে জি-২০ এর প্রধান অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষিত ১০-দফা শান্তি পরিকল্পনার চেয়ে বিস্তারিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের কয়েকজন কূটনীতিক জানান, এটি ইউক্রেন ও এর সমর্থকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তবে, বিষয়টি যখন ভোটের জন্য উত্থাপন করা হবে তখন সর্বাধিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ে প্রথম রেজ্যুলেশন গ্রহণ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মুখপাত্র পলিনা কুবিয়াক শুক্রবার বলেন যে ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে ইউক্রেনের সাধারণ পরিষদের পুনরায় জরুরি অধিবেশন শুরু হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি কয়েক ডজন মানুষ বক্তৃতা দেবেন এবং সেদিন ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে বলেছিলেন যে জেলেনস্কি রুশ আগ্রাসনের বছর পূর্তিতে জাতিসংঘে আসতে চান।
তবে কূটনীতিকরা বলছেন, নতুন করে রাশিয়ার বড় ধরনের আক্রমণের আশঙ্কায় তিনি আটকা পড়তে পারেন।
সাধারণ পরিষদ ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কিত জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হয়ে উঠেছে। কারণ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা পরিষদ রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে এ ক্ষেত্রে অচল হয়ে পড়েছে।
তবে ইউক্রেন সম্পর্কিত এর পূর্ববর্তী পাঁচটি প্রস্তাব বিশ্ব মতামতের প্রতিফলন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা আইনত বাধ্যতামূলক নয়।
যুদ্ধের বছর পূর্তিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা পরিষদ একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করবে।
এদিন ফের রুশ ও ইউক্রেনের কূটনীতিকরা এক টেবিলে বসবেন, যেমনটি তারা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার বসেছেন।
তবে কোনো ফলাফল পাওয়ার খুব বেশি আশা নেই।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ