টাইফুন গায়েমির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির বাতান প্রদেশে ডুবে যাওয়া একটি তেল ট্যাঙ্কারের ক্রুসহ রাজধানী ম্যানিলায় মোট ১১ জন, কালাবারজোন অঞ্চলে ১২ জন এবং সেন্ট্রাল লুজনের ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মূলত পানিতে ডুবে, ভূমিধস, উপড়ে পড়া গাছ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এসব প্রাণহানি ঘটেছে। তবে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও নিহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
বৃহস্পতিবার সকালে চলতি বছর তৃতীয় টাইফুন হিসেবে ফিলিপাইনে উপকূলে আঘাত হানে গায়েমি।
গায়েমির আঘাতে হাজার হাজার মানুষ বন্যা ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে; গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে, টিনের চাল উড়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন অন্যতম। মূলত প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্টে দেশটির অবস্থানের কারণে এখানে ঘন ঘন ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে বছরে গড়ে ২০টি টাইফুন হয়, যার মধ্যে কিছু মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান ফিলিপাইনে ২৫ প্রাণহানির পর চীন উপকূলে আঘাত হেনেছে টাইফুন গায়েমি
বর্ষাকালে ফিলিপাইনজুড়ে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেশটির সাধারণ ঘটনা। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।