চলমান বন্যায় দক্ষিণ সুদানের এবং আবেই প্রশাসনিক এলাকার ৩০টি কাউন্টিতে ৭ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানায়, মে মাসে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশটিতে মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক অবক্ষয়, অব্যাহত সংঘাত, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সুদানের অভ্যন্তরীণ সংঘাতও এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে।
এছাড়াও বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসল ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। বেড়েছে রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট ওসিএইচএ পূর্বাভাসে জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে দেশটিতে বন্যায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বন্যা প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা পর্যালোচনা নিয়ে দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রধান মানবিক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে সংকট সম্পর্কে ঐক্যবদ্ধ বোঝাপড়া, সুস্পষ্ট অগ্রাধিকার ও সুসংজ্ঞায়িত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন জাতিসংঘের সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ক্রমবর্ধমান দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটি জানায়, মানবিক সহায়তা সহযোগীরা জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিয়ে বন্যার্ত জনগোষ্ঠীর তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে খাদ্য, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত সামগ্রী, পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সামগ্রী, জরুরি স্বাস্থ্য কিট ও সুরক্ষা সেবা।
গত ২০ আগস্ট জুবা কাউন্টির মঙ্গলা টেলিমেট্রিক স্টেশনের পানির স্তর পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১৪.৮৫ মিটারে পৌঁছে যায়। সেসময় দেশটির পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয় নীল নদের তীরবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করে।