ইসলামিক স্টেট নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীটি সাম্প্রতিক বছরগুলাতে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর বারবার হামলা চালিয়ে আসছে।
বালুচিস্তানে পুলিশ ও প্যারামিলিটারি হিসেবে কাজ করা লেভিস ফোর্সের কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলি জাতুনি জানান, হামলাকারীরা খনি শ্রমিকদের মধ্যকার শিয়া হাজারা গোষ্ঠীর সদস্যদের শনাক্ত করে হত্যা করার জন্য কাছের পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং বাকিদের অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়।
পাকিস্তানে মাদ্রাসায় বোমা হামলায় নিহত ৭ শিক্ষার্থী, আহত ১১২
গুলিতে ছয় খনি শ্রমিক ঘটনাস্থলে এবং গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে আনার পথে মারা যান, বলেন তিনি।
লাশের যে ভিডিও পুলিশ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গুলি করার আগে খনি শ্রমিকদের চোখ এবং হাত পেছন দিকে বাঁধা ছিল। বালুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার পূর্বে মাচ্চ কয়লা খনির কাছে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার খবর দ্রুত হাজারা সম্প্রদায়ের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা বিক্ষোভ দেখাতে কোয়েটা ও আশপাশের রাস্তায় নেমে আসেন এবং জ্বলন্ত টায়ার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করেন। কর্মকর্তারা আক্রান্ত এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। দেশজুড়ে এ সহিংসতার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে রাতভর সংঘর্ষে ২ সেনাসহ নিহত ১১: সেনাবাহিনী
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং আক্রান্তদের পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে।
শিয়া ধর্মীয় নেতা নাসির আব্বাস জানিয়েছেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাও খুনের এ ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ইসলামিক স্টেটসহ বিভিন্ন সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী সাম্প্রতিক বছরগুলাতে পাকিস্তানের হাজারা সম্প্রদায়ের ওপর অনেকবার হামলা চালিয়েছে। আইএস প্রতিবেশী আফগানিস্তানেও সংখ্যালঘু শিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং সেখানে ২০১৪ সালে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে বেশকিছু ভয়াবহ আক্রমণের দায় নিয়েছে।