পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শিয়া মুসল্লিদের বহনকারী একটি গাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় নারীসহ অন্তত ৩৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকা অঞ্চলটির একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক পুনরায় খুলে দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এ ঘটনা ঘটল।
প্রদেশের কুররাম জেলায় সম্প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলিম ও সংখ্যালঘু শিয়াদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অনেক প্রাণহানি হয়েছে।
সর্বশেষ এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আজমত আলী জানান, একটি গাড়িবহরে করে পারাচিনার শহর থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে যাওয়ার পথে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ১২ সেনাসদস্য নিহত
ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মীর হুসেইন (৩৫) নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চারজন বন্দুকধারী একটি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গোলাগুলি চলে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি লুকিয়ে ছিলাম।’
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় শিয়া নেতা বাকির হায়দারি বলেন, কুররামে সম্প্রতি শিয়াদের লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরবরাহ করছে না।
হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন পারাচিনারের দোকান মালিকরা।