প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ব্রাজিলের উত্তর সাও পাওলো রাজ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেছেন, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সাও পাওলো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাও সেবাস্তিয়াও শহরে ৩৫ জন মারা গেছেন এবং পাশ্ববর্তী উবাতুবাতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু মারা গেছে।
সাও সেবাস্তিয়াও, উবাতুবা, ইলহাবেলা ও বার্টিওগার শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার কার্নিভাল উৎসব বাতিল করা হয়েছে।
কারণ উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ, আহত ও মৃতদের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
সাও সেবাস্তিয়াওর মেয়র ফেলিপ অগাস্টো বলেছেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি স্থানে পৌঁছাতে পারছে না। সবমিলিয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছে এবং ভূমিধসের কারণে শহরের কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ধসে পড়েছে।
অগাস্টো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এক টুইটে বলেছেন, সোমবার তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন।
সাও পাওলো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত একদিনে ৬০০ মিলিমিটার (২৩.৬ ইঞ্চি) ছাড়িয়ে গেছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র বার্টিওগাতেই ৬৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গভর্নর টারসিসিও দে ফ্রেইতাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন। তারা এই অঞ্চলে দুটি বিমান এবং উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে বাড়িগুলো ডুবে গেছে এবং শুধু সেগুলোর ছাদ দেখা যাচ্ছে। বাসিন্দারা জিনিসপত্র এবং মানুষদের উঁচু স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করছেন।
বন্দরনগরী সান্তোসের সঙ্গে রিও ডি জেনিরোকে সংযোগকারী একটি রাস্তা ভূমিধস ও বন্যার পানিতে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বড় শহরগুলোর পার্টি থেকে নিরিবিলি কাটাতে পছন্দ করেন, এমন ধনী পর্যটকরা কার্নিভালে সাও পাওলো রাজ্যের উত্তর উপকূলে প্রতিবছরই বেড়াতে যান।