তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের তথ্য এবং সমালোচনা দমন করার অজুহাত হিসেবে কয়েকটি দেশ নতুনভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মিশেল আরও বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম সবসময়ই অপরিহার্য। তবে এ মহামারির সময়ে মানুষ আর কখনই গণমাধ্যমের ওপর এত বেশি নির্ভর করেনি। যখন অনেক লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং নিজেদের স্বাস্থ্য ও জীবিকা নির্বাহ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়, তখন বিশ্বাসযোগ্য ও সঠিক প্রতিবেদন আমাদের সবার জন্য একটি লাইফলাইন হয়ে দেখা দেয়।’
জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আরও উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউটের মতে, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো ১৩০টিরও বেশি বাধার সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে অর্ধ শতাধিক ক্ষেত্রে তথ্যের অধিকার, সেন্সরশিপ, ভুল তথ্য প্রয়োগ ও অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মহামারি সংক্রমণ রোধে রাষ্ট্রগুলোর নেয়া পদক্ষেপের সমালোচনা করার জন্য, এ সম্পর্কিত ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেয়া সংখ্যার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য এশিয়া-প্যাসিফিক, আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যদিও, কোভিড-১৯ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে বাধা এবং গ্রেপ্তারদের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।