রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিল্প কেন্দ্র মহারাষ্ট্র এবং খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝাড়খণ্ডের লাখ লাখ মানুষ রাজ্য নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে। বুধবারের (২০ নভেম্বর) এই নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল এবং এর আঞ্চলিক অংশীদারদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং আর্থিক ও বিনোদন রাজধানী মুম্বাইয়ের অবস্থান। রাজ্যটিকে বর্তমানে শাসন করছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি ও একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদীর জোট। অন্যদিকে পূর্ব ঝাড়খণ্ড রাজ্য শাসন করছে কংগ্রেস পার্টিসহ বিরোধী জোট।
দুই রাজ্যেই বড় জনসভা করেছেন মোদী। মাত্র চার মাস আগে তার দল ধাক্কা খেয়েছে এবং সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই তৃতীয় মেয়াদে জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে। আঞ্চলিক অংশীদারদের সহায়তা নিয়ে তৃতীয় মেয়াদের সরকার গঠন করেন নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হবে না
রাজ্য নির্বাচনের আগে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে মোদী লিখেছিলেন, ‘এই উপলক্ষে, আমি সকল তরুণ ও নারী ভোটারদের বিপুল সংখ্যায় ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
মোদীর জীবনী লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন মোদীর নেতৃত্বের কৌশলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছর দিল্লি ও বিহার রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির উপর এর প্রভাব পড়বে।’
শনিবার দুই রাজ্যে ভোট গণনা হবে।
জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিজেপি অক্টোবরে হরিয়ানা রাজ্য নির্বাচনে জয়লাভ করে আবার গতি ফিরে পেয়েছে। সেখানে জরিপকারীরা বিরোধী কংগ্রেস দলের পক্ষে সহজ জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও