মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভের পর শতাধিক রোহিঙ্গা অভিবাসী ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে, যাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়া কর্মকর্তারা এ তথ্য জানায়।
দুই বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল। ২০২২ সালে উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং রাজ্যে বিক্ষোভ করে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে যায় ৫২৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। মহাসড়ক পার হওয়ার চেষ্টাকালে ছয়জন নিহত হন এবং বাকিদের অধিকাংশকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের আন্দামান সাগরে ভাসমান ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের আহ্বান জাতিসংঘের
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পেরাক রাজ্যের একটি কেন্দ্র থেকে ১৩১ জন বন্দি পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করতে প্রায় ৪০০ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
জেলা পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ নাঈম আসনাওয়িকে উদ্ধৃত করে জাতীয় বারনামা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কেন্দ্রে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর অভিবাসীরা পুরুষ ব্লক থেকে পালিয়ে যায়। সন্দেহভাজনদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে, যাদের সবাই পুরুষ।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে দুর্দশা থেকে বাঁচতে চাওয়া মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া একটি পছন্দের গন্তব্য।
মালয়েশিয়া শরণার্থীর মর্যাদা দেয় না, তবে এখানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থী এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার স্বীকৃত আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রপথে আসার পর অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ