সড়ক দুর্ঘটনা
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফারজানা আক্তার ইতি নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্বামী রুম্মান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শালিখা উপজেলার শতখালী নতুন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১৫
নিহত ফারজানা আক্তার ইতি যশোর জেলার হাসিমপুর তরপদার পাড়া এলাকার শফি মিয়ার মেয়ে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশারফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার শতখালী নতুন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত রুম্মানকে যশোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাগুরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম চন্দ্র মণ্ডল বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শালিখা পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত, গ্রেপ্তার ৩
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থিবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
ফায়ার সাভিসের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক নিহত
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে জেলার বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাংবাদিক ইউনুস আলী (৪৫) হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি সময়ের কন্ঠস্বর ও স্বদেশ প্রতিদিন নামে দু’টি পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি এবং লালমনিরহাট জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের সংবাদ পরিবেশন শেষ করে মোটরসাইকেলে হাতীবান্ধা ফিরছিলেন সাংবাদিক ইউনুস আলী। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বুড়িমারী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে এ ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলেই মহাসড়ক অবরোধ করেন ইউনুস আলীর সহকর্মী সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
নারায়ণগঞ্জে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জে রাত সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মিয়া জানান, রাত সোয়া ১টার দিকে পিটিকে ফিলিং স্টেশনের কাছে একটি প্রাইভেটকার ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ৩টা ৫০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এসআই।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বাগেরহাটের দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় তিন বাইক আরোহী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার(২৪ আগস্ট) রাতে রামপাল উপজেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার শংকর নগর গ্রামের বাসার শেখের ছেলে এনামুল (২৬), বেলাই এলাকার মোতাছেরের ছেলে আরিফ (২৭) এবং ফকিরহাট উপজেলার লাখপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সাইফুল (৩০)।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম জানান, রাত ৯টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের তেতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় ট্রাকটি বিপরীত দিক থেকে আসা বাইককে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৬
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, ট্রাকটি জব্দ এবং এর চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের কাভার্ডভ্যান চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মো. সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মো. জিলানী (৮), পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আজকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মির্জাপুর গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
আহতরা হলেন- নিহত জিলানীর ছোট বোন দেড় বছর বয়সী তাইরিন, বাবা নাজমুল মিয়া ও মা শাহানা বেগম। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আশুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ ও এক শিশু নিহত হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
বরিশালের গৌরনদীতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রাইভেটকারের চালক।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কটকস্থল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইন্টার্ন চিকিৎসক ইকরা বিনতে হাফিজ (২৮) এবং আহত চালকের নাম নাহিদ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তমাল সরকার বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ১০৬৫৪৯)। গৌরনদীর কটকস্থল এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
তিনি আরও বলেন, এতে প্রাইভেটকারে থাকা চালক নাহিদ ও যাত্রী চিকিৎসক আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত ইকরা বিনতে হাফিজ উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার স্বামীর নাম মাহী বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মহাসড়ক থানার এসআই তমাল সরকার। আহত চালক নাহিদ গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মালবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ১
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক নিহত
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের আল-কাসিম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন।
ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামে স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে।
তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী।
মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল।
তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেল এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কী বলব।’ একথা বলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরের দিন ওমরাহ করতে যাবেন।
তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়া এবং বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সঙ্গে শেষ কথা।
এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে জানতে পারি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তারা। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এ ছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন।
তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার লাশটি যেন সরকার দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
জুলাই মাসে সারা দেশে ৫০৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৫ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময় রেলপথে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে এ সময় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা যায়।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৪৪ জন নিহত ও ১ হাজার ৭৫ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৮০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত ও ১২২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ও আহতের ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১৫৪ জন চালক, ৮৯ জন পথচারী, ৪২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ১১৭ জন নারী, ৬৪ জন শিশু, একজন সাংবাদিক এবং ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, ৩ পুলিশ সদস্য, একজন নৌ বাহিনীর সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, একজন ফার্য়ার র্সাভিস কর্মী, ১১৯ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৪২ জন শিশু, ২৯ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭ জন শিক্ষক, ও ৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।
এতে দেখা যায়, ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাস, ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, জুলাই মাসের উল্লেখযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হলো- মহাসড়কে ধীরগতির থ্রি-হুইলার ও হিউম্যান হলার চলাচল, তিন চাকার যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি, স্ট্রিট নাইট ও রোড সাইনের অভাব, ট্রাফিক আইন অমান্য, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল, মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজ, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক ও হেলপার এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোকে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রায় ১৬টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।
শনিবার (২২ জুলাই) ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। আর এর ঘটনার পর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২৩ জুলাই) এসসিআরএফ তাদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজার ৭২০ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে ১ হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসসিআরএফের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো আন্তরিক। তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জবাবদিহিরও অভাব রয়েছে।
পরিবহন খাতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রভাব, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং চালক, শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
এসসিআরএফের চিহ্নিত সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি প্রধান কারণ হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; অদক্ষ, অসচেতন ও অসুস্থ চালক; বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালানো; প্রচলিত আইন ও নিয়ম না মেনে ওভারটেকিং;
কোনো নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক ছুটি এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট না থাকায় ড্রাইভার ও হেলপার ক্লান্ত থাকা; জরাজীর্ণ রাস্তা; জাতীয় মহাসড়ক এবং আন্তঃজেলা সড়কে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মোড়; দূরপাল্লার রাস্তায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল; হাইওয়েতে ধীর গতিতে চলা তিন চাকার গাড়ি; অদক্ষ নাবালক ও তরুণদের মোটরসাইকেল চালানো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া বিআরটিএর সক্ষমতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং হাইওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সম্পদের অভাব; সাধারণ জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব; চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; বিদ্যমান আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা; এবং টার্মিনাল ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজিও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ