গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সাম্প্রতিক অগ্রগতির পর এবার আরও আলোচনার জন্য মিশরে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে হামাস।
বৃহস্পতিবার হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতি ও আবার লড়াই শুরুর পর থেকে নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়াটি সম্প্রতি জটিল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মৃত মায়ের গর্ভ থেকে উদ্ধারের ৫ দিন পর মারা গেছে শিশুটি
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটিকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাস লড়াই যদি আজকে বন্ধ হয়, তারপরও গত সাত মাসে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে উপত্যকার যে পরিমাণ অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে, তা পুনর্নির্মাণ করতে অন্তত ২০৪০ সাল লেগে যাবে। আর এই অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে তা উপত্যকার অর্থনৈতিক বিকাশকে পিছিয়ে দেবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভুগতে থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের চেষ্টায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা তিনটি ধাপে হচ্ছে যেখানে শুরুতেই ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্তে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবটি ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মিশরীয় এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজার রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ২২
তিনি আরও জানিয়েছেন, পরবর্তী ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে এবং সম্ভব হলে গাজা থেকে কিছু ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টাও করা হবে। তবে হামাসের দাবি, স্থায়ীভাবে গাজা থেকে সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা এবং এই যুদ্ধের অবসান।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি মিশরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুদ্ধবিরতির ইতিবাচক মনোভাবের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘(যুদ্ধবিরতির) সিদ্ধান্তের ওপর চলমান আলোচনার অগ্রগতি ও তা সুসম্পন্ন করতে হামাসের প্রতিনিধিদলটি কায়রো যাচ্ছে।
এ বিষয়ে যুদ্ধবিরতিতে আরেক মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।