চলতি সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলায় কয়েজ ডজন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এমন খবর দিয়েছে।
এমন এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যখন দেশটির গৃহযুদ্ধ চার বছরে পড়তে যাচ্ছে। রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বেসামরিক ছায়া সরকার ও আরাকান আর্মি যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তারাও কয়েক ডজন নিহত হওয়ার কথা বলেছেন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে ইয়ানবি শহরতলির কিয়াউক নি মো গ্রামে হামলা চালায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান। এতে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়, নিহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘের বিবৃতি ও মিয়ানমারের জাতীয় সরকার এমন তথ্য দিয়েছে।
তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালানোর কথা অস্বীকার করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলছে—‘তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
কিন্তু ২৬ মুসলিম গ্রামবাসীর নাম প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, যারা সামরিক বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১২ জন।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি সরকারকে উৎখাত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপরেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা চলছে।
এদিকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে সবপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
যেসব প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা দেশটির বিমান বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহ করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়েছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র মুলান। তিনি বলেন, যখন এই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা যাবে, তখনই কেবল জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ হবে।
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎপর অ্যাকটিভিস্টদের জোট হচ্ছে ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন।
রাখাইনে জান্তা বাহিনীর হামলায় কয়েক ডজন নিহত