ইরান যদি তাদের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালায় তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরণে ইরানি জেনারেলদের হত্যার পর প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ফার্সি ও হিব্রু উভয় ভাষায় এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ‘ইরান যদি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।’
চলতি মাসের শুরুতে দামেস্কে সৌদি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বুধবার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য এলো।
তেহরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে, যাতে ভবনটি ধসে ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। যদিও তারা এই হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, যা তাদের দীর্ঘকালীন স্নায়ু যুদ্ধের সম্প্রসারণ।
মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শেষে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, বিমান হামলা ছিল 'অন্যায়' এবং ইরানি ভূখণ্ডে হামলার অনুরূপ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে খামেনি বলেন, ‘আমাদের কনস্যুলেট এলাকায় হামলা চালানোর মানে আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালানো। দুষ্ট শাসকদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে এবং তারা শাস্তি পাবে।'
কাৎজ বা আয়াতুল্লাহ কেউই কীভাবে প্রতিশোধ নেবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
১ এপ্রিলের ওই বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাতজন সদস্য, চারজন সিরীয় ও হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্য রয়েছেন।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনেরও সমালোচনা করেন খামেনি।
তিনি বলেন, 'আশা করা হচ্ছিল তারা (ইসরায়েল) এই দুর্যোগে প্রতিরোধ করবে। তারা তা করেনি। পশ্চিমা সরকারগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।’
ইরান ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।