রবিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৫৬ জন নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ১৯৮ জনে। শনিবারে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯৯ জন।
এদিকে, করোনাইভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্সের ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০২-০৩ সালে চীন ও হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়া সার্সে ৭৭৪ জনের মৃত্যু এবং ৮ হাজার ৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল। যেখানে করোনাভাইরাসে ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৮০০ অতিক্রম করেছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা এখনো নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করতে পারেননি। তবে এর উৎস কোন প্রাণী থেকে বলে ধারণা তাদের। প্রাণী থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোন মানুষের দেহে ঢুকেছে, এবং তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে।
সার্স ভাইরাস প্রথমে বাদুড় এবং পরে গন্ধগোকুল থেকে মানুষের দেহে ঢোকে। সার্স ভাইরাস ছড়ায় উট থেকে। এর সাথে উহান শহরে সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজারে গিয়েছিল এমন লোকদের সম্পর্ক আছে বলে বলা হচ্ছে। ওই বাজারটিতে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হতো
কিছু সামুদ্রিক প্রাণী যেমন বেলুগা জাতীয় তিমি করোনাভাইরাস বহন করতে পারে। তবে উহানের ওই বাজারে জ্যান্ত মুরগি, বাদুড়, খরগোশ, এবং সাপ বিক্রি হতো। হয়তো এগুলোর কোন একটি থেকে এই নতুন ভাইরাস এসে থাকতে পারে।
চীন ছাড়াও অন্তত ২৪টি দেশে ৩০০ জনের অধিক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। তার মধ্যে অন্তত ২ জন মারা গেছেন।