ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইনে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা বেড়ে ১৩০
ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ট্রামির প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১৩০ জনে পৌঁছেছে। অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সেসব এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করা প্রয়োজন বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
ফিলিপাইনের সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জে চলতি বছরে এ পর্যন্ত আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৯০ জন নিহত ও ৩৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার বাতাঙ্গাস প্রদেশের হ্রদ তীরবর্তী শহর তালিসে থেকে নিখোঁজ হওয়া এক গ্রামবাসীকে মাটি খুঁড়ে বের করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে তালিসের সাম্পালোক গ্রামের একটি জঙ্গলাকীর্ণ শৈলশিরার খাড়া ঢাল থেকে কাদা, পাথর ও গাছের স্তূপে বেশ কয়েকটি লাশ পাওয়া যায়।
শনিবার ম্যানিলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি অঞ্চল পরিদর্শন করে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেন, ঝড়ের কারণে অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে - যার মধ্যে কিছু অঞ্চলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক থেকে দুই মাসের সমান বৃষ্টিপাত দেখা গেছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মার্কোস।
তিনি আরও বলেন, 'পানি অনেক বেশি। আমাদের উদ্ধার কাজ এখনও শেষ হয়নি। অনেক এলাকা এখনও বন্যার কবলে রয়েছে এবং সেখানে বড় ট্রাকও পৌঁছানো যাচ্ছে না সেজন্য উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে মৌসুমি ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ২০, নিখোঁজ ১৪
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে কয়েকটি প্রদেশের ৫ লাখ মানুষ ৬ হাজার ৩০০টিরও বেশি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
ট্রামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮২৫ মিলিয়ন পেসো (প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কৃষিখাতে ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ বিলিয়ন পেসো (২৪.৫ মিলিয়ন ডলার)।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। আন্তঃদ্বীপ ফেরি পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে, হাজার হাজার লোক আটকা পড়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ ফিলিপাইনে প্রতি বছর প্রায় ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। ২০১৩ সালে, টাইফুন হাইয়ান, সবচেয়ে শক্তিশালী রেকর্ড করা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি, যার ফলে ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা বা নিখোঁজ হয়েছিল এবং পুরো গ্রাম চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
ঝড়টি এই সপ্তাহের শেষে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ‘ট্রামি’র আঘাতে নিহত বেড়ে ৮১, নিখোঁজ ২০
১ মাস আগে
লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ খেতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এলাকার আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে জমিতে শুয়ে পড়েছে মাঠের আধা পাকা আমন ধান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
দুহুলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। আমার ২০ শতক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানের শীষে যে দানা রয়েছে তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কৃষক মহেশ বাবু জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানায় কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
১ মাস আগে
সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ৮৮৭টি সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।
শিশু খাদ্য, শুকনো খাদ্য, সুপেয় পানিসহ জরুরি ত্রাণ, জিও ব্যাগ ও ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলার সব দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এই মধ্যে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চলছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় নদীর পানি বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ভারতের দিকেই এগুচ্ছে। ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব সাতক্ষীরা অঞ্চলে ফেলবে না, তবে ঝড়ো বাতাস বইবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
বাতাসের মান যাচাই করে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা হয়ে থাকে। এই তালিকায় ৭৭তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। বর্তমানে এ শহরের বাতাস 'মাঝারি' পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের একিউআই স্কোর ৫৪।
অন্যদিকে ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ২৬৫, ১৯৮ ও ১৯২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১ মাস আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘দানা’, উপকূলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৮.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-তে পরিণত হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হতে পারে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
১ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’তে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
১ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে
২ মাস আগে
‘বেরিলের’ আঘাতে ভেনিজুয়েলায় নিহত ২, ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ হাজার নাগরিক
হারিকেন বেরিলের আঘাতে উত্তর-পূর্ব ভেনিজুয়েলার সুক্রে রাজ্যের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যের দুজন নাগরিক নিহত হয়েছেন, এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচজন।
ভেনিজুয়েলার স্বরাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রী রেমিজিও সেবায়োস মঙ্গলবার বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ঘূর্ণিঝড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের অনুসন্ধান চলছে।’
দেশটির রাষ্ট্রীয় ভেনেজোলানা দে টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিতে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চতুর্থ ক্যাটাগরির অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বেরিল’
এদিকে, ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ একটি এক্স পোস্টে বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি কমিশন সুক্রে যাচ্ছে।
‘বেরিলের’ প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুক্রের কুমানাকোয়ায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মানজানারেস নদী প্লাবিত হয়ে কুমানাকোয়া শহরটি তলিয়ে যায়।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুসারে, ২৭০ কিলোমিটার বেগে ভেনেজুয়েলা উপকূলে আছড়ে পড়ে পঞ্চম ক্যাটাগরির অতি তীব্র হারিকেন বেরিল।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি’ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল: জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা
৫ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০ জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (২ জুন) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে ১৮ জন মারা যায়। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি, ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ হিসেবে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ টাকা, ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
একইভাবে দিনাজপুর জেলায় নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছেন সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ৬ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে