পূর্ব স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া এবং আলবাসেত ও কুয়েঙ্কা প্রদেশে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভ্যালেন্সিয়া এবং আলবাসেত ও কুয়েনকা প্রদেশের কিছু অংশে প্রতি বর্গমিটারে ৪০০ লিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দেশটির টেরিটোরিয়াল পলিসি অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক মেমোরি বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টোরেস জানান, বন্যায় পূর্ব উপকূল এবং মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়ার মধ্যবর্তী প্রধান মহাসড়কসহ ৬০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
আকস্মিক বন্যায় মালাগার কাছে প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ভ্যালেন্সিয়া শহর এবং মাদ্রিদের মধ্যে উচ্চ গতির ট্রেন পরিষেবা বাধাগ্রস্ত হয়।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে স্থানীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভ্যালেন্সিয়া ও রাজধানীর মধ্যেকার উচ্চগতির রেল সংযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে।
সরকারের এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
এর আগে বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন সানচেজ।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সহায়তা করতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ইমার্জেন্সি রেসপন্স ইউনাইটেডের (ইউএমই) প্রায় এক হাজার সদস্য কাজ করছে। তবে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ফোন নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। এছাড়াও বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় স্পেনের জরুরি রেসপন্স ইউনিটের এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
উপড়ে পড়া গাছ ও বিধ্বস্ত যানবাহনের কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ সহজ করার জন্য লোকজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মাজন।
এদিকে স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার আরও ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পেনে বন্যায় ৬৩ জনের মৃত্যু