তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ বা অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
এ গ্রীষ্মের শুরুর দিক থেকে শিনজো অ্যাবের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। এছাড়া চলতি মাসে স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ায় টোকিওর এক হাসপাতালে পর পর দুই সপ্তাহ তিনি চেকআপের জন্য যান।
এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাবে বলেন, ‘অসুস্থতা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি শারীরিক শক্তির অভাবে আমি যন্ত্রণার মুখোমুখি ... তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি যখন আর জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে বেঁচে থাকতে সক্ষম নই, তখন আমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকা উচিত নয়।’
‘অনেক লক্ষ্যই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে,’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে অন্ত্রে প্রদাহের সমস্যা নিয়ে ২০০৭ সালেও ক্ষমতা ছেড়েছিলেন অ্যাবে।
এরপর ২০১২ সালে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বড় জয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রধান হিসেবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন শিনজো অ্যাবে।