এফডিআই শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধি এবং উচ্চ দক্ষতা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশাদার সক্ষমতা জোরদার করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এফডিআই বাড়ানো: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিমসটেক দেশগুলোকে একযোগে কাজের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন , বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের প্রধানরা, বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওয়েবিনারে অংশ নেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক নেতৃত্বে সঠিক পথে এগিয়ে চলছে এবং ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য আমার মন্ত্রণালয় সব পক্ষের সাথে নিবিড় সমন্বয় করে কাজ করতে প্রস্তুত,’ বলেন তিনি।
দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বর্ধিত এফডিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর বিদেশে অবস্থিত মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরও বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
‘আমাদের বৈদেশিক নীতি এবং কূটনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক কূটনীতির লক্ষ্য অর্জন,’ বলেন তিনি।
অর্থনৈতিক কূটনীতির পাঁচটি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে বর্ধিত এফডিআই এবং পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যকরণ, উন্নত পরিষেবা সরবরাহ, লাভজনক কর্মসংস্থান, মানবসম্পদ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতির এই পাঁচটি ক্ষেত্রেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ড. মোমেন বলেন, দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের মিশনগুলো বাংলাদেশের সকল বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল রাষ্ট্রনীতিতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত লাভজনক একটি গন্তব্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় আসছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বাস্তববাদী নীতিমালা প্রণয়ন, আকর্ষণীয় প্রণোদনা প্রদান এবং দেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে মনোযোগী ও সহায়ক সরকার থাকার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।’