ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘মুজিব শতবর্ষে এক্সিম ব্যাংক’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গত ১২ বছরে এদেশের অভাবনীয় সাফল্য এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মুজিব শতবর্ষে সারাবিশ্বকে জানাতে হবে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের দারিদ্র্য অতি কম সময়ে কমানো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন বাঙালির অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করার জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার পরিবার ও জনগণের কাছ থেকে তাকে দূরে রাখতে অনেক বছর জেলে রাখা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মের সকলের উচিত বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক নেতা সম্পর্কে জানা এবং তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ মানুষ ও দেশের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করেন। মুজিববর্ষেই সরকার গৃহহীনদের জন্য ৯ লাখ পাকাবাড়ি নির্মাণ করতে চায়।
আরও পড়ুন: রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘যোগাযোগ’
বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের ব্যাখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমার ঘনিষ্টভাবে দেখার সুযোগ হয়েছিল এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার সাথেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে, সেজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হাত মিলিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে আমরা সক্ষম হবো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিব শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। এ সময় কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে এক্সিম ব্যাংকের মুজিব শতবর্ষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনা স্থগিত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদী বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী