চলতি মাসে এলইইডি সনদ পেয়েছে দেশের আরও দুটি তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা। এতে দেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২০টিতে।
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এলইইডি সার্টিফাইড কারখানার সংখ্যা ছিল ২১৮টি, গত ৫ মাসে ১২টি কারখানা সনদ অর্জন করেছে।
লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম যা পরিবেশগত দায়বদ্ধতা এবং শক্তি দক্ষতার ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পোশাক খাতে সবুজায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
সনদপ্রাপ্ত ২২০টি কারখানার মধ্যে ৮৪টি সর্বোচ্চ প্লাটিনাম রেটিং, ১২২টি স্বর্ণ, ১০টি রৌপ্য এবং ৪টি সাধারণ সনদ পেয়েছে।
নতুন যে দুটি কারখানা সনদ পেয়েছে সেগুলো হলো- গাজীপুরের কাশিমপুরের কটন ক্লাব ও কটন ক্লাউট বিল্ডিং-১ এবং ঢাকার ধামরাইয়ের গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেড। কারখানা দুটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে ৭১ ও ৭৮ স্কোর অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
মে পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে নতুন সনদপ্রাপ্ত ৮টি কারখানাকে প্লাটিনাম রেটিং এবং বাকি ৪টি কারখানাকে গোল্ড রেটিং দেওয়া হয়েছে।
১০৬ পয়েন্ট নিয়ে এসএম সোর্সিং এবং ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড ইউনিট-৪ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আছে।
এছাড়া শীর্ষ স্থানের তালিকায় ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টিগ্রা ড্রেসেস ও নিট এশিয়া লিমিটেড, ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড এবং ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে ফতুল্লা অ্যাপারেলস অবস্থান করছে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এলইইডি-সনদপ্রাপ্ত ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৬টিই বাংলাদেশে হওয়ায় বিশ্বজুড়ে টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে নেতৃত্বের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিজিএমই থেকে আরও জানা যায়, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি কারখানার মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০ কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানাই বাংলাদেশে।
এলইইডিসনদ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের এই অবস্থান দেশের পোশাক শিল্পের টেকসই অঙ্গীকারের চিত্র তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: টেকসই ফ্যাশন: ২০২৩ সালে ২৪টি নতুন এলইইডি সবুজ কারখানা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত নেতৃত্বে