ভোক্তাদের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আরও একটি ধাক্কায় ডিম দুই সপ্তাহ আগের দামের তুলনায় ৩০-৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রতি ডজন ডিমে আবারও বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। যা নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আ্য়ের মানুষের জন্য একটি বড় ধাক্কা। দাম বেড়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকা।
নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য প্রোটিনের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের উৎস হলো ডিম। এমন সময়ে দাম বেড়েছে যখন তারা জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করছে।
বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদক রাজধানীর কিচেন মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখেন, আকার ও মানের ওপর নির্ভর করে এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। কিছু কিছু জায়গায় দাম ছিল ৫০ টাকা পর্যন্ত এমনকি প্রতি ডজন ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সুপার শপে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
অন্যদিকে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকায় (৪ পিস) এবং দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১০৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ভোক্তা বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সব ধরনের ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছে।
টিসিবি’র বাজার মনিটরিং সেল জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর তুলনায় জানুয়ারিতে এখন পর্যন্ত প্রতি হালি ডিমের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, সাধারণত শীতকালে ডিমের চাহিদা বাড়ে, অথচ উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়ে।
মহামারির কারণে লকডাউনের সময় অনেক খামার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল এবং এখনও উৎপাদনের উচ্চ খরচ এবং ডিমের কম দামের কারণে বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিম ও গোশতের দাম কমতে পারে সরকারের নীতিগত সহায়তায়: এফবিসিসিআই
ফিডের দামের উচ্চ বৃদ্ধির মধ্যে দেড় বছরে উৎপাদন খরচ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে, অনেককে লোকসানের ঝুঁকির কারণে ব্যবসায় নিরুৎসাহিত করেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য পণ্যের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি বলেন, ফার্মের ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকৃত মাছ দেশের লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
নাজের বলেন, এই জাতীয় সমস্ত পণ্যের দাম বেড়েছে, যা একটি বিশাল জনসংখ্যাকে তাদের প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কমাতে বাধ্য করেছে।