কোম্পানির এজিএম নাহিদ ইউসূফ বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাত ১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারেকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।’
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থান অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মারা গেছেন
শুক্রবার বাদ জুমা গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজার নামাজের পর বনানী কবরস্থানে এমএ হাশেমকে দাফন করার কথা রয়েছে।
১৯৪৩ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এমএ হাশেম। তিনি স্ত্রী সুলতানা হাশেম, পাঁচ ছেলে আজিজ আল কায়সার টিটো, আজিজ আল মাহমুদ, আজিজ আল মাসুদ, রুবেল আজিজ ও শওকত আজিজ রাসেল এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মারা গেছেন
এমএ হাশেম লোহা, সিমেন্ট, চিনি, চাল, মশলা, আটা, লবণ, দুধ ও খাবার পানিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
এম এ হাসেম অর্ধ শতক আগে তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করে বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন খাতে।
তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। তিনি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। জনতা ইনসুরেন্স কোম্পানিও তিনি গড়ে তোলেন।
২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এমএ হাশেম বিএনপিতে যোগদান করেন এবং নোয়াখালী-২ সংসদীয় আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৬৭ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ জনে।
আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিন কিনতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে সরকারের চুক্তি
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৮৯৬টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৩২টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.৫৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.১৭ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বায়োএনটেক-ফাইজার টিকা ব্যবহারে ইইউ’র শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪১৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮.০১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকা বিতরণে বাংলাদেশ কি প্রস্তুত
মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা: আর্থিক প্রণোদনা পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর