সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সকাল থেকে পতনের মুখে পড়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজার, যার রেশ ছিল লেনদেনের শেষ অবধি।
রবিবার (৪ আগস্ট) সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কমেছে সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১২২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২০৭ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৬৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯ কোম্পানির। অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ২৪ কোম্পানির ১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গ্লোবাল পেন সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনে ডিএসইতে ৯১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।
৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়ে ঢাকার বাজারে শীর্ষে আছে তিতাস গ্যাস এবং ৮ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ট্রাস্ট ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৭ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬ কোম্পানির, কমেছে ১১২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২০ কোটি টাকা।
৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে কাশেম ইন্ডাস্ট্রি এবং ৯ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে খান ব্রাদার্স।