তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার, এ বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউনের সাথে মতবিনিমকালে এব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশীদার। তৈরি পোশাক, ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নির্মাণ কাজেও দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
‘উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয়দেশ উদ্যোগ নিলে এ সুযোগকে কাজে লাগানো সম্ভব। দক্ষিণ কোরিয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে,’ বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
রপ্তানি বহুমুখী করতে পিআইএফআইসি কর্মসূচি চালু হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বড় ব্যবসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭০.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৩১৫.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন করতে চায় : বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।