দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ফর সাসটেইনেবল ফিন্যান্স’- সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, বহুমাত্রিকতা এসেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি দেশে অর্থবাজার ও পুঁজিবাজার যদি একসঙ্গে কাজ করে এবং অর্থবাজার যদি ফড়িয়ামুক্ত হয় তাহলে দেশের সমৃদ্ধি আরও বাড়বে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে পাকিস্তান কিছু দিন আগ পর্যন্ত দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে সেখানে কীভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মানব উন্নয়ন সূচক থেকে শুরু করে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সূচকসহ সমস্ত সূচকে আমরা ২০১৪-১৫ সালেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।’
দেশের অর্থনীতির কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের অর্থনীতির আকার গত প্রায় ১৫ বছরে কতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি অনেকের ধারণা নাই। আমাদের অতীতের ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত হয়েছে।, অর্থাৎ প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে।’
বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। দেশ কে পরিচালনা করবে সেটি দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। বিএনপি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর সুযোগ করে দিয়েছে এবং বিদেশিদের কাছে বারে-বারে গিয়ে আমাদের দেশকে ছোট করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। এটিই প্রমাণ করে আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে দিল্লি, ওয়াশিংটন, ব্রাসেলসসহ সবারই সুসম্পর্ক। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের সঙ্গে কোনো কোনো দেশের সুসম্পর্ক যাতে বিনষ্ট হয় সেজন্য অনেক অপচেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণে ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হবে।’