বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না।
শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের মগবাজারের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের কিছু লোক আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে, কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলের পক্ষ নেবে।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু দেশে এখন তা অনুপস্থিত। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে বাঁচব?’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে নয়নের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে সে বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
পরিবারটিকে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং পুলিশ তাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে বিএনপির এই নেতা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের সদস্যদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মঈন খান বলেন, জনগণ এখন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করুন এবং দেশে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করুন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে হলে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে, বাকস্বাধীনতা দিতে হবে, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, যার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন।
মঈন বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন সমাজে বাস করতে চাই, যার জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এটাই চায়।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সমর্থনে নয়, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল