তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন নির্মাণ করে, নদীভাঙন রোধ করে, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দেয়। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। বাসে-ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, তারা মানুষ পোড়ায়।'
তিনি বলেন, 'রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি দুনিয়ার কোথাও নেই। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে কঠোর হাতে তাদের দমন করতে হবে।'
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের গোয়ালপুরা বাজার, কোদালা বাজার, চা বাগান এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি কোদালা চা বাগানের শ্রমিক, গ্রামের নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।
নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করার। জাতীয় পর্যায়ে আমার অনেক দায়িত্ব, এরপরও একজন চেয়ারম্যান যেভাবে এলাকায় সময় দেয়, আমি সেইভাবে সময় দিই।'
তিনি বলেন, 'কর্ণফুলী নদীসহ রাঙ্গুনিয়ার অন্যান্য নদীর ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আরও ১০০ কোটি টাকার কাজ হবে। অনেক জেলায়ও এত উন্নয়ন কাজ হয়নি। রাঙ্গুনিয়ার ৮ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি হয়েছে আমার হাত দিয়ে। চাকরির সুপারিশ করার সময় আমি কখনো ভাবিনি, কে কোন দল করে। আমি সব মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি।'
আগামী ৭ জানুয়ারি আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাছান বলেন, 'বিএনপি ঘরানার মানুষও অনেকে আমাকে ভোট দেয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় ২৪টি নতুন মসজিদ বিল্ডিং করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে। গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি, পাঁচ বছর পর আমি আপনাদের দুয়ারে এসেছি, আপনারা দয়া করে আপনাদের দুয়ারটি আমার জন্য খুলে দেবেন। ৭ জানুয়ারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন সেই প্রত্যাশা রইল।'
আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে যোগ দেন।