আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘একতরফা ও ডামি নির্বাচনে’ অংশ না নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ডামি নির্বাচনের খেলা প্রতিহত ও বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের বলছি, ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আপনাদের ভোট কোনো পরিবর্তন আনবে না।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার ও প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা আবারও আমাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। এই একতরফা নির্বাচনের নামে মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোই এই সরকারের কৌশল।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে খেলা করে দেশ ও জনগণের প্রতি অবিচার করছে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (জনগণ) এই সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। তারা (সরকার) যা করতে পারে তা করতে দিন, কিন্তু আপনারা তার অংশীদার হবেন না। আপনারা যদি ডাকাতি রোধ করতে না পারেন তবে কমপক্ষে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত হবেন না এবং ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। আপনাদের কাছে এটাই আমাদের অনুরোধ। যে অন্যায় করে তাকে সাহায্য করাও ভুল। এজন্য আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যেন শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের অংশ না হন ‘
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে সমর্থন জানিয়ে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচি শেষে নির্বাচন বর্জন ও দুপুরের সহযোগিতা আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে বিএনপির তিন দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন নজরুল।
তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোটিপতি প্রার্থীদের অর্থের উৎস এবং তাদের আকস্মিক উত্থানের কারণ জানতে চান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অধিকাংশই কোটিপতি। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এত কোটিপতি কোথা থেকে আসে?’
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট পাট হয়েছে। ‘সরকার জানে কারা এর পেছনে আছে, কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করবে না।’