বৃহস্পতিবার এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে তিনি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমি ঐতিহাসিক ৭ মার্চে শপথ নিলাম।’
এসময় জনগণের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কথা বলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাকি সাত এমপিকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান মনসুর।
ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে যোগ দিলেন তিনি। ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে আমি যা করেছি তা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েই করেছি।’
নিজেকে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী দাবি করা মনসুর বলেন, ‘আমি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরই দল এবং জোটকে শপথ নেয়ার কথা বলেছিলাম। আমি আগে যেটা বলেছি সেই কথা রেখেছি।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে সুলতান মনসুরকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি ও গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এ সময় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩ মার্চ জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে এক চিঠিতে ৭ মার্চ শপথ গ্রহণের আয়োজন করতে অনুরোধ করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২)। তবে মোকাব্বির খান ‘অনিবার্য কারণবশত’ আজ শপথ নেননি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির নির্বাচিত ছয়জন সাংসদও একাদশ সংসদে যোগদান না করার বিষয়ে অনড় রয়েছেন। বিএনপি ও গণফোরামসহ তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’, অনিয়ম ও একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ এনে ওই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন।