রাজধানীর কাকরাইল মোড়ের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। আদালরে রায় পক্ষে থাকলেও তার সমর্থকরা অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনস্থলে ট্রাকের ওপর স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন। আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান এই নেতা।
ইশরাক বলেন, হাইকোর্টের রায় শোনার পর আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই আপাতত আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত রাখব।
তবে সরকারের কর্মকাণ্ড আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা আসবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিল বুধবার(২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে।
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
আজ তারা রাজধানীর কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন মোড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেন। ফলে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
আদালতের রায়ের মাধ্যমে ইশরাকের দাবি আদায় হলেও তার সমর্থকরা অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানান।
চলমান আন্দোলনের ফলে নগরবাসীর দুর্ভোগের জন্য ক্ষমাও চান ইশরাক হোসেন। বলেন, ‘এটি আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল না। বর্তমান সরকার আমাদের অধিকারবঞ্চিত করতে গিয়ে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: ইশরাকের শপথ নিয়ে আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থাইল্যান্ড থেকে ফোনে ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটি হওয়া উচিত, সেই ধরনের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটি বিজয় হয়েছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, মন্ত্রণালয় আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’
অবস্থঅন কর্মসূচির স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শেষে জুলাই আন্দোলনে আহত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুন সংলগ্ন কাকরাইল মোড়ের ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চে ওঠানো হয়। সেখানে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায় ও এলাকার নেতারা বক্তব্য দেন। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে ইশরাক কাকরাইল এলাকা ত্যাগ করেন। এরপর নেতা-কর্মীরাও চলে যেতে শুরু করেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের অন্যতম ব্যস্ত ওই সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়।