বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনারের সামনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক রাখিবন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু কালকেই ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একজনকে ও লালমনিরহাটে এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। ওবায়দুল কাদের যদি জনগণের ভোটে মন্ত্রী হতেন তাহলে প্রথমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর অ্যানজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন
‘আপনি সেই কড়া প্রতিবাদ না করে রাখিবন্ধনে আবদ্ধের কথা জানালেন। অথচ নদ-নদীতে পানি নাই আর প্রতিটি সীমান্তে আমাদের বাংলাদেশি ভাইকে হত্যা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তার জন্য আপনারা কোনো কথা বলেন না,’ বলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভী ফের হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবুর ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের জন্য ধানের শীষে ভোট চান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। এখানে দিনের ভোট রাতে করে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহ পর হাসপাতাল ছাড়লেন রিজভী
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু প্রথম শ্রেণির কুড়িগ্রাম পৌরসভা ঘুরে কোথাও উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায় না। এটা এখনও পাড়াগাঁ রয়ে গেছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে আজ বেলা ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে গণসংযোগে শুরু হয়ে শহরের ঘোষপাড়ায় গিয়ে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, আশরাফুল হক রুবেল, আলতাফ হোসেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব, নাদিম আহমেদ, আমিমুল ইহসান ও হাসান যোবায়ের হিমেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রিজভীর রোগমুক্তির জন্য কুড়িগ্রামে মসজিদে মসজিদে দোয়া
এদিকে, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ, চোরাচালান রোধ, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার এবং সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ২২ ডিসেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা।
আরও পড়ুন: রিজভীর রোগমুক্তির জন্য কুড়িগ্রামে মসজিদে মসজিদে দোয়া
চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ভারতের রাজধানী দিল্লির বাইরে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।