তিনি বলেন, ‘আমি এলডিপি আমার নামে নিবন্ধনের দরখাস্ত করেছিলাম এবং এটি এক নম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তাই, এ দল নিয়ে নেয়ার আইনগত অধিকার কারও নেই। কেউ যদি নিজের বাবার নাম বাদ দিয়ে আমার নামে পরিচিত হতে চায় এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অলি আরও বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে এলডিপির নিবন্ধন আমার নামে...এবং এটি মূল এলডিপি।’
এর আগে এলডিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি অলিকে বাদ দিয়ে সাত সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করেন।
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল করীম আব্বাসীকে নতুন কমিটির সভাপতি ও সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়।
নতুন কমিটি ঘোষণাকারীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অলি বলেন, কয়েকজন ইতিমধ্যে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ‘আমি এ দল প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আমি ১২ বছর ধরে এর সভাপতি। তারা (আব্বাসী ও সেলিম) আমার দলের সদস্য ছিল এবং তারা আমার ভাই ও সন্তানের মতো। তাদের বিরুদ্ধে আমার কথা বলা শোভন নয়,’ যোগ করেন তিনি।
গত ৯ অক্টোবর আব্বাসী ও সেলিমকে বাদ দিয়ে এলডিপির ২০৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেন অলি।
দলের আগের কমিটিতে আব্বাসী প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সেলিম যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।
অলি ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি ত্যাগ করে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সাথে নিয়ে এলডিপি গঠন করেন। তবে অলির সাথে দ্বন্দ্বের জেরে বি চৌধুরী এক বছরের মধ্যেই এলডিপি ছেড়ে যান এবং নিজের দল বিকল্প ধারাকে পুনর্জীবিত করেন।