বাংলাদেশ আর আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না, কারণ দেশের ৪ কোটি তরুণ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় তরুণদের সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে।’
শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তাহের একই সফরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এজন্য খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।’
তাহের প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কি দেশের স্বার্থে কিছু বিষয়ে এক থাকতে পারি না?’
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। ‘আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। কিন্তু দেশে আস্থার সংকট, সেবাখাত থেকে শৃঙ্খলার অভাব এবং দুর্নীতি বড় সমস্যা। এসব যদি সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশ ‘টাইগার’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।’
দেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জামায়াত নেতা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না।’
তিনি আরও জানান, দলটি টেকসই গণতন্ত্র এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। তবে এ অংশগ্রহণের অর্থ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, বরং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
তাহের বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সততা, সাম্য, মর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নারী-পুরুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং সব দল, মত ও ধর্মবিশ্বাসের মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।