প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো দল মনে করছেন, তারা ক্ষমতায় এসে আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন করবেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই বাংলাদেশে এটা আর হবে না। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে।’
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে পাবনার সুজানগর কমিউনিটি সেন্টারে পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। কিন্তু এই পরিবেশ বিঘ্নিত করতে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন আওয়ামী লীগ চলে গেছে উনারা দেশের মালিক হয়ে গেছেন। এজন্য সবাইকে মনে রাখতে হবে হাসিনার মতো মানুষকে এই দেশের মানুষ বিদায় করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন না, আমরা কারো চক্ষু রাঙানিকে পরোয়া করি না।’
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের আশ্রয়ে একদল দুর্বৃত্ত জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে: জামায়াত আমির
পাবনা-২ আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা-৪ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, নায়েবে আমির ও পাবনা-৫ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসেন, পাবনা-১ আসনের প্রার্থী জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা-৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা আলী আজগর ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাবনা শহর শাখার সভাপতি ফিরোজ হোসাইন ও জেলা শাখার সভাপতি ইসরাইল হোসাইন শান্ত।
আরও পড়ুন: জামায়াত নির্বাচনমুখী দল, আর্ত-মানবতার মুক্তি চায়: ডা. শফিকুর রহমান
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বেড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আতাউর রহমান সরকার ও সুজানগর জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল হোসাইন।
বক্তব্য শেষে পাবনার ৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীন প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম খান। পরে তাদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়।