নিম্নকক্ষে পিআরের বিরোধিতা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “জুলাই সনদে স্বাক্ষরে সরকার আমাদের কাছে যে প্রস্তাব পাঠাবে, দৃঢ় বিশ্বাস সেখানে নিম্নকক্ষে পিআর বলে কিছুই থাকবে না। নতুন করে পিআর নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: এ ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
ভোটের বাজারে পিআরের কোনো মূল্য নেই উল্লেখ করে মান্না বলেন, “দেশের মানুষ পিআর বোঝে না। এ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহও নেই।”
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার পক্ষে মান্না বলেন, “কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পেলেই তাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হতে পারে। সরকারের সঙ্গে অন্যান্য দলের একটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চকক্ষ থাকলে তা নিশ্চিত করা সম্ভব। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে যেভাবেই হোক গণতন্ত্রের পথে থাকতে হবে। বিএনপি যদি গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে আসে, দেশের ওপর বড় রকমের দুর্যোগ নেমে আসবে।”
গণভোট প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “সনদে অনেকগুলো ধারা থাকবে। এক ধারায় একমত হলে হয়তো আরেক ধারায় মানুষ একমত হবে না। সেখানে হ্যাঁ বা না ভোট কতটা কার্যকর হবে, তা ভেবে দেখতে হবে।”
মান্না সব রাজনৈতিক দলকে আগামীর বাংলাদেশে মেটিকুলাস এবং কালেক্টিভ যাত্রার আহ্বান জানান।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।