বৃহস্পতিবার নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকরা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই।’
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৯৬ শতাংশ আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে জোট করে নির্বাচনে যায় এবং মাত্র সাতটি আসনে জয়ের দেখা পেয়েছে।
খালেদা জিয়া দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন। পরে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৯ এর নবনিযুক্ত বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এজলাসে উপস্থিত হলে বিএনপি প্রধান আদালতে বসার অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন।
এসময় বিচারক প্রত্যেককে চেয়ার দেয়ার আদেশ দেন এবং জানান, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন।
কিছুক্ষণ পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তিনি আদালতে হাজির হবেন না।
আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।